আজ (রোববার, ২০ জুলাই) বান্দরবান প্রেসক্লাবে ‘ছাত্র সমাজ’-এর ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রনেতারা সারজিসের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।
বিতর্কের মুখে পরে বিকেলে নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে দুঃখপ্রকাশ করেন সারজিস আলম। তিনি লেখেন, বান্দরবান নিয়ে কিছুদিন আগে একটি বক্তব্যে যে অনাকাঙ্ক্ষিত শব্দচয়ন হয়েছে, সেটার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। পাশাপাশি তিনি জানান, সংগ্রাম, সৌন্দর্য ও সৌহার্দ্যের রাঙ্গামাটি থেকে...আমরা লড়াই করব সকল জাতিগোষ্ঠীর অধিকার ও মানবিক মর্যাদা নিয়ে।

এর আগে বান্দরবান প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রনেতা আসিফ ইসলাম বলেন, ‘১৯ জুলাই বান্দরবানে অনুষ্ঠিত এনসিপির জুলাই পদযাত্রায় সারজিস আলম জনসমক্ষে ক্ষমা চাইবেন বলে আশ্বাস দেয়া হলেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিলে নেতারা কর্ণপাত না করে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সারজিস আলম প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত বান্দরবানে এনসিপির সব কার্যক্রম ও উপস্থিতিকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে বান্দরবানকে ‘শাস্তির বদলি’ হিসেবে ব্যবহার বন্ধ ও এখানকার কর্মকর্তাদের দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
ছাত্রনেতা আসিফ ইকবাল বলেন, ‘বান্দরবানকে অবজ্ঞা মানে আমাদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা। কোনো দলের নেতাই জনপদের সম্মানহানি করলে তা মেনে নেয়া হবে না। রাজনৈতিক পরিচয় নির্বিশেষে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।’