আজ (বুধবার, ৩০ জুলাই) সকালে নির্বাচন ভবনে ২০২৪ সালের দলের বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে ২০২৪ সালের অডিট রিপোর্টে ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকার বেশি আয় এবং ১ কোটি ৭৯ লাখ টাকার বেশি ব্যয়ের হিসাব দেখানো হয়েছে। এতে ব্যাংকে গচ্ছিত উদ্বৃত্ত দেখানো হয়েছে ৮৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
এর আগে, ২০২৩ সালে দলের আয় ছিল ২ কোটি ২২ লাখ টাকা এবং ব্যয় ছিল ১ কোটি ১৩ লাখ টাকার বেশি। অর্থাৎ, ২০২৪ সালে দলের আয় বেড়েছে অন্তত ৬২ লাখ টাকা।
আয়ের খাত হিসেবে কর্মীদের চাঁদা, প্রকাশনা বিক্রি ও ডোনেশন দেখানো হয়েছে।
এসময় রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘জাতীয় পার্টি আরপিও’র (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) কোনো শর্ত লঙ্ঘন করেনি। আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচন করায় জাপাকে ফ্যাসিস্টদের দোসর বলা হচ্ছে; অথচ সেই নির্বাচনে বিএনপিসহ ২১টি দল অংশ নিয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এখনও কোনো নির্বাচন আয়োজন করেনি। তাই কমিশন পুরোপুরি নিরপেক্ষ—এ কথা বলার সময় এখনও আসেনি।’
২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালুর পর থেকে প্রতি বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) আয়-ব্যয়ের হিসাব স্বীকৃত চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং ফার্ম দিয়ে নিরীক্ষা করে ইসিতে জমা দেয় রাজনৈতিক দলগুলো।
বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে বিএনপি, জামায়াত, জাপাসহ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে ৫০টি। প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকায় অডিট রিপোর্ট দেওয়ার বাইরে রয়েছে দলটি।