ফেনীতে শহিদ শিহাবের কবরে দোয়া ঘিরে জামায়াত-বিএনপি নেতাকর্মীদের হট্টগোল

কবর জিয়ারত করতে গিয়ে বিএনপি-জামায়াত নেতার বাগবিতণ্ডা
এখন জনপদে
রাজনীতি
0

ফেনীর পাঁচগাছিয়ায় শহিদ ওয়াকিল উদ্দিন শিহাবের কবরে দোয়া-মোনাজাতকে কেন্দ্র করে জামায়াত ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। আজ (মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর কাশিমপুর গ্রামে ফেনীর জেলা প্রশাসক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ ও প্রশাসনের অনুরোধে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহিদ শিহাবের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসেন জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান এবং স্বাস্থ্য বিভাগসহ সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তারা। 

জানা যায়, জেলা জামায়াতের আমির মুফতি আবদুল হান্নান সেখানে উপস্থিত হলে ইউনিয়ন জামায়াতের আমির জাহাঙ্গীর আলম তাকে দোয়া করার জন্য আহ্বান জানান। এতে আপত্তি তোলেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরনবী মেম্বার।

নুরনবী মেম্বার বলেন, ‘শহিদ শিহাব আমার আত্মীয়। আমি ওই এলাকার পাঁচবারের নির্বাচিত মেম্বার। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাকে দোয়া পরিচালনার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছিল। আমি স্থানীয় মসজিদের ইমামকে বলে রেখেছিলাম। পূর্বনির্ধারিত ইমামকে বাদ দিয়ে হঠাৎ ইউনিয়ন জামায়াত আমির জেলা জামায়াতের আমিরকে দিয়ে দোয়া করানোয় আমি আপত্তি জানাই। এতে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে প্রশাসনের অনুরোধে আমরা সরে আসি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াতের আমির আমার জেল-পার্টনার। আমি তাকে সম্মান করি। কিন্তু ইউনিয়ন জামায়াতের আমির জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগের দোসর। সে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জামায়াতের আমিরকে দিয়ে দোয়া পরিচালনা করিয়ে হট্টগোল সৃষ্টি করেছেন।’

ফেনী জেলা জামায়াতের আমির মুফতি আবদুল হান্নান বলেন, ‘ওখানে কিছু হয়নি, কোনো সমস্যা হয়নি। দোয়া-মোনাজাত আমি করেছি। বিএনপির এক নেতা একটু (সিনক্রিয়েট) বাড়াবাড়ি করছিলেন, আমি থামিয়ে দিয়েছি। মূলত ইউনিয়ন আমির বলেছিলেন, জেলা আমির দোয়া করবেন। এটাকে তিনি দলীয়করণের বিষয় মনে করেছিলেন। পরে আমি বুঝিয়ে বলেছি এবং দোয়াও করেছি। স্থানীয় ইমাম সাহেব আমাকে দোয়ার জন্য বলেছেন।’

এসএইচ