গতকাল (বুধবার, ৬ আগস্ট) লন্ডনের ৫০১ হাই স্ট্রিট নর্থে অবস্থিত দ্য রয়েল রিজেন্সিতে রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা, খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মাহবুব আলী খান স্মৃতি সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটি। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আহমেদ সাদিক এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আবেদ রাজা।
তারেক রহমান বলেন, ‘রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খান ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক মানুষ, যিনি দেশের জন্য কাজ করে গেছেন। বর্তমানে দেশে একটি পরিবর্তন এসেছে। রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা যে বাংলাদেশ পেয়েছি, সেই বিজয় কোনো একক সংগঠন বা দলের দ্বারা সম্ভব হয়নি। দেশের সর্বস্তরের মানুষ রাজপথে নেমে এসেছিল বলেই এ আন্দোলন সফল হয়েছে, স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে।’
প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তারেক রহমান বলেন, ‘আমি নিজেও আপনাদের মতো ১৭ বছর ধরে প্রবাসে আছি। যারা দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন, নেতাকর্মীদের উৎসাহ দিয়েছেন—প্রত্যেক প্রবাসী ভাইবোনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, ‘অতীতের মতো আগামী দিনেও গণতান্ত্রিক সরকারকে সহযোগিতা করে দেশকে এগিয়ে নিতে প্রবাসীদের আহ্বান জানাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে মাহবুব আলী খানের স্মৃতিচারণে তার মেয়ে ড. জোবাইদা রহমান রচিত একটি কবিতা আবৃত্তি করা হয়। তুলে ধরা হয় মাহবুব আলী খানের পরিবারের পরিচয় ও তার চাকরি জীবনের বিভিন্ন দিক। প্রদর্শিত হয় শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পরিবারের পরিচিতি এবং মাহবুব আলী খানের কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম, যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়সর আহমেদ, যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বাবর চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লায়েক মোস্তফা, সহ-সভাপতি আব্দুল খয়ের, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার ফয়সল আহমদ প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন মাহবুব আলী খান স্মৃতি সংসদের সিনিয়র সহসভাপতি কামাল উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এমাদুর রহমান এমাদ, যুগ্ম সম্পাদক খালেদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাজান হোসেন সেনাজ প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে মিলাদ ও দোয়ার মাধ্যমে মাহবুব আলী খান ও তার পরিবারের প্রয়াত সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। পাশাপাশি, জুলাই ও আগস্ট মাসে গণআন্দোলনে যারা শহিদ হয়েছেন, তাদের জন্যও দোয়া করা হয়।