তিনি বলেন, ‘আমরা জুলাইয়ের চেতনার ক্ষেত্রে সকলেই এক আছি। তবে রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়ার সময় আমাদের মধ্যে বিভাজন চলে আসে। তবে এই দিকটা শুধরে নিতে পারলে আমরা একটা সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো ইনশাল্লাহ।’
সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আরও সুন্দর ও গোছালো একটা ঘোষণাপত্র চেয়েছিলাম। এখানে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের অবদান ছিল সাংবাদিকদের অবদান ছিল অনলাইনে বিভিন্ন মানুষের অবদান ছিল। সেই ছোট ছোট বিষয়গুলো এখানে উঠে আসেনি। সেজন্য আমার কাছে মনে হয় এগুলো আরও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলিত হওয়ার দরকার ছিল। আরও পূর্ণাঙ্গ হলে এটি জুলাইকে ধারণ করার ক্ষেত্রে ভালো হতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে সেটা খুবই মর্মান্তিক এবং দুঃখজনক আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ থাকবে এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত আছে তাদেরকে দ্রুত সময়ে মধ্যে গ্রেপ্তার করে বিচার ব্যবস্থা করবে। সত্য প্রকাশে যদি এভাবে হত্যা হতে হয় তাহলে সাংবাদিকরা তাদের কাজটা সঠিক ভাবে করতে পারবে না। আমি চাইব দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে কে বা কারা এটার পিছনে আছে তা বের করে জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন, জুলাই বিপ্লবের শহিদ রায়হান আলীর পিতা মুসলেম উদ্দিন, শহিদ সাকিব আনজুমের পিতা মাঈনুল ইসলাম, রাজশাহী মহানগরীর নায়েবে আমির ড. মাওলানা কেরামত আলী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শিবিরের কেন্দ্রীয় ফাউন্ডেশন সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান, কেন্দ্রীয় মানবাধিকার সম্পাদক সিফাত আলম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রশিবির রাজশাহী মহানগর সভাপতি শামীম উদ্দিন ও মহানগর সেক্রেটারি ইমরান নাজিরসহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রত্যয় শিল্পীগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় রক্তে দ্রোহের গান পরিবেশ করা হয়।