ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য ঘোষিত রোডম্যাপকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা প্রথম থেকেই প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আস্থাশীল ছিলাম। তবে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় না করেই নির্বাচন কমিশন এ রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে। আলোচনা করে রোডম্যাপটি ঘোষণা করলে আরও ভালো হতো।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী রোডম্যাপে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন ও দেশিয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনসহ ২৪টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হলেও ভোটার সচেতনতা এবং নির্বাচনী ব্যয়ভার প্রসঙ্গে কার্যকর উদ্যোগের অভাব রয়েছে।’
ব্যারিস্টার ফুয়াদ আরও বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম ভোটার সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রটোকল তৈরির উদ্যোগ নেয়া হবে। পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারণার কিছু ব্যয় রাষ্ট্র বা নির্বাচন কমিশন বহন করবে। কিন্তু রোডম্যাপে তেমন কিছু দেখা যায়নি। কালো টাকার ছড়াছড়ি রোধে কমিশনের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ অনুপস্থিত।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘জুলাইয়ের গণআন্দোলনে অংশগ্রহণকারী তরুণদের আকাঙ্ক্ষা বিবেচনায় নিয়ে ভোটার বয়স ১৭ বছরে নামানোর যে প্রস্তাব এসেছিল, সেটিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এছাড়া ভোটের দিন পর্যন্ত যাদের বয়স ১৭/১৮ হবে, তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থা করা তেমন কোনো কঠিন বিষয় ছিল না।’
আরও পড়ুন:
তিনি আরও বলেন, ‘সমাবেশ ও প্রচারণায় কমন পোস্টার-ফেস্টুন ব্যবহারের প্রস্তাব দিলে রাষ্ট্রের হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হতো। প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয়ের বড় অংশ রাষ্ট্র বহন করলে কালো টাকার প্রভাবও অনেকাংশে কমে যেত।’
এছাড়া বুথভিত্তিক ভোটের পরিবর্তে খোলা মাঠে ভোট আয়োজন করলে সবার কাছে নির্বাচন আরও গ্রহণযোগ্য হবে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন এখনও ট্র্যাডিশনাল নির্বাচনী পদ্ধতিই বজায় রেখেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও প্রশাসনের ওপর সরকার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিতে না পারায় জনগণের মধ্যে সংশয় রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গত ২৪ বছরে বাংলাদেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়নি। নির্বাচন করার মতো ভালো কমকর্তাও আমাদের নাই।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সিদ্দিকুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক সেলিম খান, যুব পার্টির সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব বারকাজ নাসির আহমদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা) শাজাহান ব্যাপারী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাইয়ান রসি, যুব পার্টির দপ্তর সম্পাদক আমানুল্লাহ রাসেল, যাত্রাবাড়ী থানার আহ্বায়ক সুলতান আরিফ ও যুব নেত্রী ইশরাত জাহানসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।