বঙ্গবন্ধুর পরই লতিফ সিদ্দিকীকে আমার নেতা মনে হয়: কাদের সিদ্দিকী

টাঙ্গাইল
কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
এখন জনপদে
রাজনীতি
1

শেখ মুজিবের পর লতিফ সিদ্দিকীকে নেতা বলে মনে হয় বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম। আজ (শনিবার, ৩০ আগস্ট) বিকেলে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কাদেরিয়া বাহিনীর উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পরই লতিফ সিদ্দিকীকে আমার নেতা মনে হয়। ড. ইউনূস আপনি যদি মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে হয়ে থাকেন তাহলে লতিফ সিদ্দিকীকে যখন বলা হয়েছে যে লতিফ সিদ্দিকীর দুই গালে জুতা মারো তালে তালে তখনি আমি ধরে নিয়েছি আপনার দুই গালেও জুতা মারা হয়েছে। আর যদি মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে থাকেন তাহলে আপনার গালে জুতা মারা হবে না। মুক্তিযুদ্ধ করে যদি পাকিস্তানের কাছে অত্যাচারিত হতে হয় তাও শান্তি কিন্তু বাংলাদেশে পাকিস্তানি মনোভাব নিয়ে ছেলেমেয়ে জন্ম নিলো কিভাবে?’

সেনাপ্রধানকে উদ্দেশ্য করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘ওয়াকার সাহেবকে আমি ভালো ভাবে চিনিনা, তবে আগে তার গ্রামে অনেক সময় কাটিয়েছি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অনেক গর্বের, অন্য দেশে সেনাবাহিনী পরে হয় কিন্তু আমাদের দেশে সেনাবাহিনী আগে হয়েছে। হাসিনা হঠাও আন্দোলনে সেনাবাহিনী যে ভূমিকা রেখেছে তা হাজার বছর মনে রাখবে। কেউ কেউ বলছে সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্ট পুড়িয়ে দিবে তাদের দেখে নিন আপনি।’

তিনি বলেন, ‘আমি গত ৫ আগস্ট সেনা প্রধান আপনি বলেছিলেন আপনাকে ভরসা করতে দেশ হিফাজত করবেন? কিন্তু আজ কোথায় হেফাজত? ৭১ মঞ্চের অনুষ্ঠানে যারা মব করেছে তারা অপরাধী না যারা ভাংতে গেছে তারা অপরাধী? আপনি দেখেন না কে অপরাধী? ২৬ বছর যাবত কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও একই সঙ্গে জেলে গেছে। কোটা আন্দোলনকারীদের একার আন্দোলনে শেখ হাসিনার বিদায় হয়নি।’

আরও পড়ুন:

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘৭১ সালে যেমন সবাই একত্রে হয়েছিলাম ঠিক তেমনি ভাবে ২৬ সালেও আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।’

কোম্পানি কমান্ডার ফজলুল হক বীর প্রতীকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন কাদেরিয়া বাহিনীর কমান্ডার আবুল কালাম আজাদ বীর বিক্রম, কোম্পানি কমান্ডার হুমায়ুন বাংগাল, বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর ছোট ভাই ও কালিহাতি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, ঘাটাইল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডারের আহবায়ক আতিকুর রহমান সহ মুক্তিযোদ্ধা ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাকর্মীরা।

অনুষ্ঠান শেষে ভূঞাপুর উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতির ছেলে উদয়ের উপর হামলা চালায় উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।

ইএ