এক ছাদের নিচে ক্রীড়াঙ্গনের পরিচিত মুখগুলো। সাবেক ফুটবলার, তারকা ক্রিকেটার সবার মেলবন্ধন। যেন সবাই মিলে গড়েছেন বাংলাদেশ জেলা এবং বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশন। উদ্দেশ্য- খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা দেশের ক্রীড়াঙ্গনে প্রাণ ফেরানো। যেন নতুন বাংলাদেশের ক্রীড়ায়ও পালাবদলের গল্প রচিত হয়।
এরইমধ্যে দেশিদের পাশাপাশি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইংলিশ তারকা হামজা চৌধুরী অন্তর্ভুক্তিতে দেশের ফুটবলে প্রাণের সঞ্চার ঘটেছে। শুধু ফুটবল নয়, দেশের ক্রিকেটকেও অনন্য উচ্চতায় নিতে খেলোয়াড়দের পাশাপাশি যোগ্য ব্যক্তিদের দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানালেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট বোর্ডকে রিপ্রেজেন্ট করার জন্য যারা যোগ্য। সেটা জেলা থেকে হোক বা বিভাগ থেকে হোক, যাদের বেসিক ক্রিকেটের আইডিয়া আছে, যাদের একটা স্বপ্ন আছে যে, আমি বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এই জায়গায় নিয়ে যেতে চাই। আমি এটাই রিকুয়েস্ট করবো যে তাদেরকে সিলেক্ট করা হোক।’
বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক বলেন, ‘যারা জেলা পর্যায়ে বিগত সময়ে অনেক ধরনের ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে দলীয়করণমুক্ত রাখার জন্যই কিন্তু আমাদের এই পথ চলা এবং আমাদের এই কার্যক্রম ‘
নতুন সংগঠনে যুক্ত হওয়া সবার লক্ষ্য, ফ্যাসিস্টমুক্ত ক্রীড়াঙ্গন উপহার দেয়ার। গেল স্বৈরাচার সরকারের আমলে দায়িত্বে থাকা সংগঠকদেরকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ক্রীড়া সংগঠকরা।
ক্রীড়া সংগঠক মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন বলেন, ‘আমরা সবাইমিলে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে আরও সমৃদ্ধ করতে চাই। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যা হয় হোক আমরা ক্রীড়াঙ্গনকে রাজনীতির বাইরে রাখবো। কোনো ক্রীড়াবিদকে যেন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে ধিক্কৃত হতে না হয়। সেজন্য আমাদের দৃষ্টি সবসময়ই থাকবে।’
ক্রীড়া সংগঠক আবদুস সালাম বলেন, ‘শেখ হাসিনা বিদায় নেয়ার পর একটা কমিটি করে দেয়ার পর কী করছে? কোনো পরিবর্তন নাই। এই আট মাসে ক্রীড়াঙ্গনে আরও অধঃপতন হয়েছে। যদি হাসিনাকে জবাব দিতে হয় তাহলে আজকে ক্রীড়াঙ্গনে যারা আছে এদেরকেও জবাব দিতে হবে।’
নতুন এই সংগঠনের হাত ধরে এগিয়ে যাবে দেশের ক্রীড়াঙ্গন এই প্রত্যাশা ক্রীড়াপ্রেমীদের।