দেশের ক্রীড়াঙ্গনে রাজনীতির থাবা সব সময়ই ছিল। দিনে দিনে সেটি যেন আরো বাড়ছে। সরকার বদলালে বদলায় ফেডারেশন থেকে ক্লাবগুলোতে সংগঠকদের চেহারা। তবে গণঅভ্যুত্থানের সরকার ক্রীড়াঙ্গনকে রাজনীতির বলয়মুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে কারা আসলে ফিক্সিংয়ের সাথে জড়িত। এখন তারা আবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় নিয়ে আবার স্পোর্টসে এক ধরনের দখল দেয়া চেষ্টা করছে। তবে আমরা আমাদের দিক থেকে চেষ্টা করবো এইটা যেন না হয়।’
স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের ক্রীড়াঙ্গন ঢাকামুখী। ক্রিকেট-ফুটবলের মতো জনপ্রিয় খেলা চিটাগং বা সিলেটে আয়োজন হলেও সংখ্যাটা নগণ্য। তবে অন্যান্য খেলা ঢাকার বাইরে যায় না বললেই চলে। অন্তর্বর্তী সরকারের বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার প্রচেষ্টায় খেলাধুলা বিকেন্দ্রীকরণে নজর যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার।
তিনি বলেন, ‘বিকেন্দ্রীকরণ করতে চাচ্ছি সব স্পোর্টস। শুধু ঢাকা কেন্দ্রিক খেলাধুলা হওয়ার কারণে বিভিন্ন ধরনের ট্যালেন্ট হান্ট থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী।’
ঝিমিয়ে পড়া ক্রীড়াঙ্গনের অধিকাংশ ফেডারেশনের সাধারণ সমস্যা অর্থ সংকট। বাস্তবতা ভিন্ন, সার্চ কমিটির অনুসন্ধানে বেরিয়েছে ভিন্ন তথ্য। বরাদ্দ পাওয়া অর্থ নাকি ঠিকমতো খরচই করতে পারেনি ফেডারেশনগুলো! তবে পিছিয়ে পড়া ফেডারেশনগুলোতে বাড়তি নজর দিচ্ছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
উপদেষ্টার কথায় নতুন স্বপ্ন বুনতেই পারে ক্রীড়াপ্রেমিরা। ফেডারেশনের দায়িত্বশীলরা সেগুলো পূরণ করতে পারবে তো?