জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ নয় বরং প্রথম টেস্ট নিয়ে ভাবছেন কোচ ফিল সিমন্স। আজ (শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল) অনুশীলন শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন দল আর সিলেটের উইকেট নিয়ে তার পরিকল্পনার কথা। বললেন, টেস্ট ক্রিকেটে যতটুকু উন্নতি করার কথা ছিল ততটুকু করতে পারেনি বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ফিল সিমন্সের একটা নিবিড় সম্পর্ক আছে। বর্তমান হেড কোচ সাক্ষী টাইগারদের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট জয়েরও। যদিও সেবার প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের ডাগআউটে ছিলেন সিমন্স। তবু গেল ২০ বছরে কাছ থেকে দেখা বাংলাদেশকে নিয়ে তার মূল্যায়ন বেশ গুরুত্ব বহন করে নিশ্চিতভাবেই।
সিমন্স বলেন, ‘২০০৫ সালের তুলনায় খেলায় পরিবর্তন এসেছে। আগে তারা যেভাবে খেলতো আর এখন যেভাবে খেলছে, তাতে উন্নতি হয়েছে বলা যায়। তবে তাদের লক্ষ্য সেরা ৩ দলের মধ্যে থাকা, সেটি করতে হলে আরো অনেকদূর যেতে হবে।’
মজার ব্যাপার হলো, ২০ বছর আগে যাদের হয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন, এবার ঠিক সে দলের বিপক্ষে ছক কষতে বসেছেন সিমন্স। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কেমন উইকেট চান, খোলামেলা বললেন সেটিও।
সিমন্স বলেন, ‘প্রোপার উইকেট চাই। জিম্বাবুয়ের জন্য আমাদের স্পিন ট্র্যাক তৈরি করার দরকার নেই। হোয়াইটওয়াশ নিয়ে ভাবছি না। প্রথম টেস্ট সামনে, সেটি নিয়ে ভাবছি। টেস্ট জিততে হলে প্রথম দিন জিততে হবে।’
সিরিজে বাংলাদেশ দলে থাকা ৪ পেসারই ডানহাতি। বাঁহাতি নেই একজনও। বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে কিছুটা বেমানানই বটে। তবে নিশ্চিন্ত হেড কোচ। ট্রাম্প কার্ড বানাতে চান গতিতারকা নাহিদ রানাকে।
সিমন্স আরো বলেন, ‘বর্তমান যুগে একজন বাঁহাতি থাকা ভালো। তবে ডানহাতি কোয়ালিটি পেসার থাকলে অসুবিধা নেই। যে ৪জন ডানহাতি আছে তাদেরকে নিয়ে সন্তুষ্ট। নাহিদ রানা যে গতিতে বল করে তা অনেকে জানপ্রাণ দিয়ে চেষ্টা করে। সে যদি সঠিক জায়গায় বল ফেলতে পারে তাহলে জিম্বাবুয়ের জন্য কঠিন হুমকি হবে।’
টেস্ট দীর্ঘদিন উইকেট কিপিং করছেন না মুশফিকুর রহিম। দলে নেই লিটন দাসও।
প্রথম টেস্টে উইকেটের পেছনে কে দাঁড়াবেন সেটি নিয়ে এখনও দোলাচলে টাইগার শিবির। দুশ্চিন্তা আছে ওপেনারদের অফফর্ম নিয়েও। তবু নয়নাভিরাম সিলেটের মাঠ আর প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে বলেই অনেকটা নির্ভার টিম ম্যানেজমেন্ট।