ঘরের মাঠে চারদিনেই জিম্বাবুয়ের কাছে আত্মসমর্পণ বাংলাদেশের

রান নিচ্ছেন জিম্বাবুয়ের দুই ব্যাটার
ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

ঘরের মাঠে চারদিনেই জিম্বাবুয়ের কাছে আত্মসমর্পণ করলো বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম টেস্টে হেরেছে ৩ উইকেটে ব্যবধানে। ম্যাচে ১০উইকেট শিকার করেও দলের হার বাঁচাতে পারেননি অলরাউন্ডার মেহেদি মিরাজ। বরং নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়ে জিতলো আফ্রিকানরা।

সিলেটের আকাশ বোধহয় রাতে বেমালুম ভুলেই গিয়েছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামার পরিকল্পনা কষেছে বাংলাদেশ। বৃষ্টি থামার পর মাঠ প্রস্তুত করে খেলা মাঠে গড়িয়েছে বেলা ১১ টায়।

পাহাড়সম চাপ কাঁধে নিয়ে দিনের প্রথম বলেই যেন আলস্য ভরা সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যাট হাতে আড়মোড়া ভাঙ্গলেন শান্ত। মুজরাবানির বলে এরপরেই নিজেকে আবিষ্কার করলেন প্যাভিলিয়নে।

আগের দিনের মতোই চতুর্থ দিনেও বল হাতে স্বাগতিক ব্যাটারদের সামনে মূর্তিমান আতঙ্ক রোডেশিয়ান মুজরাবানি। ১৩০-১৩৫ কি.মি বেগের এই বোলারই যেন শান্তদের সামনে গ্লেন ম্যাগ্রা বা জস হ্যাজেলউড।

এই জুজুতেই মিরাজও নিজের শরীর বাঁচাতে গিয়ে একই বোলারের বলে বেনেটের হাতে বল তুলে দিলেন। সেখানেই যেন জিম্বাবুয়ের সামনে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দেবার অপমৃত্যু ঘটে।

প্রথম ইনিংসের পর ব্যাট হাতে আবারো ত্রাতা হাসান মাহমুদ ও জাকের আলী। এই জুটিতে আসা ৩৫ রানেই মূলত লিড দেড়শ ছাড়িয়েছে। মাসাকাদজার বাহাতি স্পিনে পরপর ফেরেন হাসান ও খালেদ। ৫৮ রান কফা জাকেরকেও শেষ ব্যাটার হিসেবে মুজারাবানি ফেরালে সফররতদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৭৪ রান।

ছোট কিন্তু চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই নাহিদ রানা-হাসান মাহমুদদের উপর চড়াও হয়ে ওয়ানডে স্টাইলে ৯৫ রান তুলে ফেলে রোডেশিয়ানরা। এরপরেই বেন কারানকে ফিরিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেশনে মিরাজের ম্যাজিকাল আঁটোসাঁটো স্পেলে একে একে তুলে নেন পাঁচ উইকেট। ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো পূর্ণ করেন ১০ উইকেটের কৃতিত্ব ও বাংলাদেশি হিসেবে ২০০ উইকেট।

মাঝে তাইজুল দুই উইকেট নিলেও তার প্রায় প্রতি ওভারেই বাউন্ডারি - ওভার বাউন্ডারি হাকিয়ে নিজেদের ওপরের চাপ সরিয়েছে অতিথিরা।

শেষমেশ টানটান উত্তেজনার ম্যাচ তিন উইকেট হাতে রেখে নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে ইতিহাস গড়েই ম্যাচ জিতে নেয় জিম্বাবুয়ে।

সেজু