এসময় নির্বাচিত সরকার ছাড়া অন্য কেউ শক্তভাবে দেশ পরিচালনা করতে পারবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখনও নানা ষড়যন্ত্র চলছে। গণতন্ত্র এখনও নিরাপদ নয়।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের রক্তচক্ষু এবং নিষ্ঠুর দুঃশাসনের মুখে যারা প্রবাসে গণতন্ত্রের পক্ষে, বাংলাদেশের মানুষের কথা বলার স্বার্থে সেখানে যারা রাজনীতি করেছেন, কথা বলেছেন, শেখ হাসিনাকে একজন রক্তচক্ষু গণতন্ত্র হত্যাকারী শাসক হিসেবে চিহ্নিত করে যারা কথা বলেছেন তারা ১৫ বছর দেশে আসতে পারেনি। তাদের মধ্যে যারাই দেশে এসেছে, তাদের পরিণত হয়েছে ভয়াবহ। তাদেরকে এয়ারপোর্ট থেকেই গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে অকথ্য অত্যাচার করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করা গেলেও গণতন্ত্র তো এখনও নিরাপদ নয়। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়ে নানা ধরনের গোঁজামিল দেখতে পাচ্ছি, নানা ধরনের টানাপড়েন দেখতে পাচ্ছি। কেন এটি হবে? এটি তো হওয়ার কথা নয়। শেখ হাসিনার দুঃশাসন-মুক্ত বাংলাদেশে আমরা দেখবো যে, গণতন্ত্রের শর্তগুলো পূরণ হচ্ছে। এখানে রাজনৈতিক দলগুলো সভা সমাবেশ করবে, স্বাধীনভাবে কথা বলবে, সংগঠন করবে এবং অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে— এটার জন্যই তো লড়াই। এখানে কোনো গুণ্ডা-সন্ত্রাসীর আশ্রয় থাকবে না। তাহলে আজ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে দেরি কেন?’
এনসিপি এবং ছাত্র উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সবাই সমর্থন করেছে, সে সরকার ক্রমান্বয়ে একটি রাজনৈতিক দলের সরকার হয়ে যাচ্ছে। যতক্ষণ আপনারা (শিক্ষার্থীরা) দল গঠন করেননি, ততক্ষণ আপনাদের প্রতিনিধিদের নিউট্রাল মনে হয়েছে। কিন্তু এখন আপনারা হয়ে গেছেন একটি রাজনৈতিক দলের উপদেষ্টা।’
সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজির প্রসঙ্গ টেনে অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, সে যেই হোক যে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজি করবে, দখলদারি করবে, বিএনপির নাম দিয়ে যে করবে তাকে আগে ধরুন। আপনারা তো সমর্থন পাচ্ছেন। তারপরও কেন আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হবে?’