উৎকণ্ঠা, আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তা! পাকিস্তানে পিএসএল খেলতে যাওয়া রিশাদ-নাহিদদের শেষ মূহুর্তগুলো কেটেছে শঙ্কা মিশ্রিত উদ্বেগের মধ্যে।
তবে রিশাদ বড় ভাইয়ের মতো সাহস যুগিয়েছেন জুনিয়র নাহিদ রানাকে। এমনকি ক্রীড়া সাংবাদিকদের সাথেও সবসময় যোগাযোগ রেখেছেন।
রিশাদ হোসেন বলেন, ‘উৎকন্ঠা ছিল। তবে বিসিবি ও পিসিবির সার্বক্ষণিক যোগাযোগ মানসিকভাবে শক্ত থাকতে সাহায্য করেছে।’
শুধু রিশাদ-নাহিদরাই নয় পিএসএল খেলতে যাওয়া বিদেশি ক্রিকেটাররাও ছিলেন আতঙ্কিত।
রিশাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা খুব আতঙ্কিত ছিলাম। পরিবারের সবাই খুব দুঃশ্চিন্তা করছিল। দলে বিদেশি যারা ছিল তারা খুব নার্ভাস হয়ে পড়ছিল।’
অনাকাঙ্ক্ষিত এমন বিপদের সময়ে বিদেশি ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার দিকে সর্বোচ্চ নজর দিয়েছে পিসিবি। টানা আট ঘণ্টার বৈঠকে ক্রিকেটারদের পাকিস্তান থেকে নিরাপদে বের করার বন্দোবস্ত করেছে তারা। আর অভিভাবকের মতো নিয়মিত খোঁজ রেখেছে বিসিবি।
রিশাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা ফ্লাই করার ২০ মিনিট পর এয়ারপোর্টে মিসাইল পড়ে। তখন আমরা সবাই শকড হয়ে গিয়েছিলাম।’
দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ দেয়ার পাশাপাশি দেশবাসীর প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন অলরাউন্ডার রিশাদ। যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি খেলার জন্য উপযুক্ত নয় তবে সিচ্যুয়েশন ভালো হলে আবারও খেলতে যেতে চান তিনি।
রিশাদ হোসেন বলেন, ‘পিএসএল শিফট হয়ে দুবাইয়ে করলে যাওয়ার চেষ্টা করবো।’
কে জানত খেলার উত্তেজনায় বাঁধ সাধবে বিপদের আশঙ্কা! পিএসএলের এবারের আসরের ভবিষ্যত অনিশ্চিত। তবে শেষমেষ রিশাদ হোসেন-নাহিদ রানাকে বহাল তবিয়তে দেশে ফিরেছেন এটাই স্বস্তির।