৮ মে পিএসএলের ভেন্যু রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে ড্রোন হামলা চালায় ভারত। সঙ্গে সঙ্গেই স্থগিত হয়ে যায় দিনের পূর্বনির্ধারিত পেশোয়ার জালমি ও করাচি কিংসের ম্যাচ। পরের দিনই স্থগিত করা হয় পুরো টুর্নামেন্ট।
পুনরায় পিএসএল শুরু হলে একটি ভেন্যুতেই আয়োজন করা হতে পারে বাকি ম্যাচগুলো। এমন সম্ভাবনার কথাই জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ। আসর শেষ করতে ৬ ফ্র্যাঞ্চাইজিকেই বিদেশি ক্রিকেটারদের দুবাই এবং স্থানীয় ক্রিকেটারদের দেশে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের জেরে বন্ধ আছে আইপিএল ও পিএসএল। সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়ার কথা ছিল পিএসএলের বাকি অংশ। কিন্তু আরব আমিরাতের ক্রিকেট বোর্ড কর্তার ভাষ্য, অনুযায়ী ভারতীয় বোর্ডের প্রভাবেই পিএসএল আয়োজন থেকে সরে আসে তারা।
অবশ্য পাকিস্তানের মাটিতে ফের পিএসএল শুরু হলেও আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। কারণ যুদ্ধবিরতিতে দুই দেশ সম্মত হলেও, পরিস্থিতি এখনও নাজুক। গেল শনিবার সকালে বিদেশি খেলোয়াড়দের বহনকারী চাটার্ড বিমান রাওয়ালপিন্ডি নূর খান এয়ারবেইজ থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার ঘণ্টা খানেক পড়েই সেখানে মিসাইল হামলা চালানো হয়। যে বিমানে ছিলেন অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বেশ কিছু তারকা ক্রিকেটার।
তাই পাকিস্তানের বাইরে পিএসএল আয়োজনের পরামর্শ সাবেক ক্রিকেটার বাসিত আলির। প্রয়োজনে বাংলাদেশে পিএসএল আয়োজন করতেও দ্বিধা না করার অনুরোধ তার। যেখানে ঘরোয়া লিগের ম্যাচগুলোতেও গ্যালারি ভর্তি দর্শকের দেখা পাওয়া যায়।
পিএসএলের দশম আসরে বাকি আছে লিগ পর্বে ৪টি, ৩টি প্লে-অফ এবং ফাইনাল ম্যাচ।