ব্যাট হাতে নিয়মিত রান না এলেও টস ভাগ্যে যেন মিস্টার কন্সিসট্যান্ট লিটন দাস। আগের দুই ম্যাচের মতো ধবলধলাইয়ের লজ্জা এড়ানোর ম্যাচেও টস হারলেন লিটন, যদিও সালমান আঘারের সিদ্ধান্তে সফরে প্রথমবার প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ।
গ্যালারির দর্শকরা আসনে ঠিকভাবে বসার আগেই প্রথম বলে চার হাঁকিয়ে রানের খাতা খোলেন তানজিদ তামিম। সঙ্গীকে দেখে আরো ধ্বংসাত্মক সঙ্গী পারভেজ হাসান ইমন। তামিম শুরুতে কিছুটা খোলসবন্দী থাকলেও কোষমুক্ত তরবারির মতো করে উইলো চালিয়ে চার-ছক্কার ফুলঝুড়িতে প্রতিপক্ষ ফিল্ডারদের বল কুড়ানোতে ব্যস্ত রাখলেন ইমন।
দুই বাঁহাতির ব্যাটে চড়ে দশ ওভারেই শতরান পেরোয় টাইগাররা। ফিফটি থেকে মাত্র ৮ রান দূরে থাকতে তামিম ফিরলে একাদশ ওভারে ঘটে ছন্দপতন। পরের ওভারেই প্রায় দুইশ' স্ট্রাইকরেটে ৬৬ রান করা ইমনও সঙ্গীর পথ ধরেন।
সকালের সূর্য প্রতিদিন যে সঠিক পূর্বাভাস দেয় না এর আরো একটি উদাহরণ যেন বাংলাদেশের ইনিংস। মাঝে লিটন-হৃদয়-জাকেররা আগ্রাসনের সেই ধারা ধরে রাখতে পারেননি। যার ফলে একসময় আড়াইশোর স্বপ্ন বোনা টাইগাররা থামে ১৯৬ রানেই।
বাংলাদেশের এই পুঁজিতে প্রয়োজন ছিল শুরুতে পাকিস্তানের কিছু উইকেট তুলে নেয়া। ব্যক্তিগত ১ রানে সাহিবজাদাকে ফিরিয়ে এমন কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিল দলটি। কিন্তু হারিস নেমেই চিত্র পাল্টে দেন।
আগের দুই ম্যাচে ০ ও ৪ রান করা সাইম অবশ্য এদিন শুরুতে কিছুটা ধুঁকেছেন। ধীরে ধীরে নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে হারিসের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ে তোলেন। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৩ বলে ৯২ রানের জুটি গড়েন তারা। ব্যক্তিগত ৪৫ রানে তানজিমের শিকার হন সাইম।
যদিও ব্যাটিংয়েই শেষ হয়ে যায় টাইগারদের আশা। শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে এই ব্যাটার তুলে নিয়েছেন তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। ৪৬ বলের ইনিংসটি সাজান ৮টি চার ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে। এছাড়া হাসান নাওয়াজ ২৬ ও অধিনায়ক সালমান আলী আগা ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
সবশেষ পাকিস্তান সফরে টেস্ট সিরিজে তাদের হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। এবার উল্টো হোয়াইটওয়াশ হয়ে ফিরলো দলটি।