মাসখানেক বিরতির পর আবারও সাদা পোশাকের অভিজাত ফরম্যাটে ফিরছে বাংলাদেশ ক্রিকেট।
সবশেষ ঘরের মাটিতে দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট হার, আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে নাকানিচুবানি, মাঠের পারফরম্যান্সটা একদমই পক্ষে কথা বলছে না টাইগারদের।
এর সাথে বোর্ডের শীর্ষ পদে রদবদল, এতসব আলোচনা-সমালোচনা মাঠের খেলায় কেমন প্রভাব ফেলেছে?
মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, ‘দুটি অধিনায়ক হতে পারতো। তারপরও বোর্ড যেটা ভালো মনে করেছে সেই জায়গাটায় চিন্তাভাবনা করে দিয়েছে। কারণ সামনে কিন্তু টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা শুরু হচ্ছে। এর সঙ্গে একবছর পরই ওয়ানডে বিশ্বকাপ আছে আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও আছে। তো সবকিছু মিলেই ঠিক পরিকল্পনা করেই কিন্তু আগাচ্ছে।’
শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়ে চার বছর পর আবারও তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়কের যুগে ফিরছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। এ নিয়ে মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানালেন তার মত।
তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ওইভাবে আশা করি না যে এখনই শ্রীলঙ্কার মাঠে ওদের হারিয়ে দেবে। কারণ একটা প্রস্তুতি ম্যাচ যদি খেলার সুযোগ থাকতো, খেলোয়াড়দের অবস্থান যদি বোঝা যেত তাহলে আগে থেকে বলা যেত যে খেলোয়াড়রা এখন যথেষ্ট কনফিডেন্ট আছে ভালো খেলবে।’
নিজেদের পারফরম্যান্স যখন তলানিতে, সেখানে ফর্মে থাকা লঙ্কানদের বিপক্ষে কেমন করবে দল? সাবেক প্রধান নির্বাচক অবশ্য আশার বাণী শোনাতে পারেননি।
মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, ‘বাইরে যত কথা হয়, দলের উপর একটা চাপ তো সৃষ্টি হয়। তারপরও ফোকাস খেলার মধ্যে থাকাটা খুব জরুরি। কারণ যখনই ট্যুর করার জন্য দেশ ছেড়ে যাবেন তখন মাথায় কিন্তু ক্রিকেটটাই থাকবে। তখন বাইরে কোথায় কী হচ্ছে, এগুলো প্রাধান্য দিলে পারফরম্যান্সে ক্ষতি হয়।’
গেল বছর পাকিস্তানে ব্যাট হাতে ছড়ি ঘোরানোর পর থেকেই নিজেদের হারিয়ে খুঁজছেন লিটন দাস-মুশফিকুর রহিমরা। নান্নুর বাজির ঘোড়া এখনও দুজনের পক্ষেই।
তিনি বলেন, ‘মুশফিকের অফ ফর্ম তো আগে ছিল, এখন নতুন করে একটা সিজন শুরু হচ্ছে। ও যথেষ্ট অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। আমি মনে করি ওর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ওর সেরাটা যদি দেয় ইনশাআল্লাহ এই টেস্ট ম্যাচে ও ভালো খেলবে। টেস্টে আমি লিটনের ব্যাটিংটা সবসময় এগিয়ে রাখি।’
গলে আজ মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নেমেছে নাজমুল শান্তর দল।