প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার মাটিতে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল
ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

একদিকে স্পিনে আগুন, অন্যদিকে ব্যাট হাতে তাণ্ডব। শ্রীলঙ্কার মাটিতে বাংলাদেশ পেলো প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়। আর ইতিহাস গড়ার পথে দুই নায়ক শেখ মেহেদি ও তানজিদ তামিম। লঙ্কানদের বিপক্ষে ৮ উইকেট ও ২১ বল হাতে রেখেই বড় জয় পেয়েছে লিটন দাসের দল।

রবার্ট ব্রুসের স্কটল্যান্ড জয় করে দ্বাদশ যুদ্ধে, আর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের লঙ্কা জয় সব ফরম্যাট মিলিয়ে ১৮ তম সিরিজে, সময়ের হিসেবে যা দুই যুগ।

প্রথম ম্যাচ হারার পরেও সিরিজ জয়ের অভিজ্ঞতা ছিল একবার তাও প্রায় ৭ বছর আগে। সবমিলিয়ে ইতিহাসের হাতছানির ম্যাচের টস ভাগ্যটা আসেনি লিটন দাসের পক্ষে।

আগে ব্যাট করতে নেমে শরিফুলের করা প্রথম ওভারেই দুটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শুরু করেন নিশাঙ্কা। যদিও শেষ বলে মেন্ডিসকে ফিরিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দেন বাঁহাতি পেসার।

এরপর থেকেই শুরু হয় শেখ মেহেদি ম্যাজিক। একে একে কুশল পেরেরা, দিনেশ চান্দিমাল ও চারিথ আসালাঙ্কাকে তুলে নেন এই স্পিনার। ইনিংস সর্বোচ্চ রান করা পাথুম নিশাঙ্কাকেও ফেরান তিনি। নিজের ফেরার ম্যাচ রাঙ্গিয়েছেন ১১ রানে চার উইকেট তুলে নিয়ে।

বল হাতে মেহেদির দিনে কিপ্টে ছিলেন বাকি বোলাররাও, শামিমও দুই ওভার হাত ঘুরিয়ে উইকেট তুলেছেন একটি। শেষদিকে দাসুন শানাকার ঝোড়ো ৩৫ রানের ইনিংসে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা। যার সবচেয়ে বড় ঝড় গেছে শরিফুলের উপর দিয়ে। সতীর্থদের কিপ্টে বোলিংয়ের দিন হাত খুলে চার ওভারেই ৫০ রান দিয়েছেন তিনি।

জবাবে প্রথম বলেই পারভেজ ইমনের উইকেট হারিয়ে দুঃস্বপ্নের শুরু করে সফররতরা। তিনে নেমে পালটা আক্রমণ শুরু করেন ক্যাপ্টেন দাস। বাউন্ডারি দিয়ে রানের খাতা খোলা লিটন এরপরই রানিং বিটুইন দ্য উইকেটে মন দেন।

আক্রমণের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন তানজিদ তামিম। তার একের পর এক ওভার বাউণ্ডারিতে পাওয়ারপ্লেতেই দলীয় ৫০ পেরোয়। দলীয় ৭৪ রানে যখন লিটন প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন তখন জয়ের ভিত গড়েছে টাইগাররা।

অধিনায়ককে হারিয়েও ব্যাট চালানো থামাননি ছোট তামিম। তুলেছেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম অর্ধশতক, অপরাজিত থেকেই দলকে নিয়েছেন জয়ের বন্দরে।

আর মাহেদির নিখুঁত স্পিন আর তামিমের ধ্বংসযজ্ঞে বাজলো জয়রথ, বাংলাদেশ শুধু সিরিজই জিতলো না জিতলো আত্মবিশ্বাস ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা।

এএইচ