২০২০ সালে বিশ্বকাপ আর ২০২৩ সালে এশিয়া কাপ-পুরুষ ক্রিকেটে বাংলাদেশের বড় দুই সাফল্যই এসেছে বয়সভিত্তিক দলের হাত ধরে। পারফরম্যান্সের মানদণ্ডে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে ধারাবাহিক দল যেন অনূর্ধ্ব-১৯।
যুগ বদলেছে, সময় বদলেছে তবে সাফল্যের সংজ্ঞায়নে অনূর্ধ্ব-১৯ দল কখনোই হতাশ করেনি। ১৯৯৮ সালে নিজেদের প্রথম অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেই বাংলাদেশ ছিল প্লেট চ্যাম্পিয়ন। সেই দলের সদস্য এহসানুল হক সেজান এবার নির্বাচক হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নিয়ে দেখাচ্ছেন স্বপ্ন।
জিম্বাবুয়ে সফরে বাংলাদেশ দল ছিল দারূণ ছন্দে। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজে একাধিক ম্যাচ জিতে এসেছে চাপের মুখে। আগামী বছর সেখানেই হবে বিশ্বকাপ। সফল মিশনের পর তাই স্বাভাবিকভাবেই তৃপ্ত নির্বাচক এহসানুল হক সেজান।
আরও পড়ুন:
এহসানুল হক বলেন, ‘আমরা যদি একটা এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে যেতে পারি, তাহলে আমাদের মোটামুটি ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কার্যপরিকল্পনা হয়ে যায়। এটা আমাদের প্ল্যানের একটা অংশ ছিল। খেলোয়াড়রা যে অভিজ্ঞতা নিয়েছে এখান থেকে তা শতভাগ কাজ করবে।’
ধারাবাহিক সাফল্যের জন্য সাবেক এ ক্রিকেটার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের গেম ডেভলাপমেন্টকেই বড় করে দেখছেন। সঙ্গে জানালেন বয়সভিত্তিক দলের নিবেদনের কথা।
সেজান বলেন, ‘২০০৮ থেকে আমাদের স্ট্রাকচারটা ডেভেলপ করা শুরু হলো। আমরা স্কুল ক্রিকেট থেকে শুরু করে ডিভিশন লেভেল পর্যন্ত উন্নতি করার চেষ্টা করলাম। তবে হ্যাঁ, লুপ-হোলস ছিল, প্ল্যান করেছি আবার ভালো না হলে অন্য প্ল্যানে গিয়েছি।’
অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে জাতীয় দল লম্বা এক পথ। ক্রিকেটারদের এ লম্বা পথের জন্য এখন থেকেই তৈরি করা হচ্ছে বলে জানালেন নির্বাচক এহসানুল হক সেজান। দেশে বা দেশের বাইরে সব কন্ডিশনের জন্যই তৈরি হচ্ছেন তারা।
সেজান আরও বলেন, ‘খেলোয়াড় যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে হিউজ পটেনশিয়ালিটি রয়েছে। ওদেরকে এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে যে, বাইরের দেশেও যে উইকেটে খেলবে তারা মানিয়ে নিতে পারবে।’
নিজে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রথম সাফল্যের সাক্ষী ছিলেন। এহসানুল হক সেজান নিজের সেই অভিজ্ঞতা থেকেই এবার বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন আরও বড় সাফল্যের জন্য।