টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ব্যস্ত সময় পার করছে বাংলাদেশ। নিজেদের সবশেষ দুটি সিরিজই খেলেছে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে। সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপকে সামনে রেখে ইউরোপ থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছে নেদারল্যান্ডসকে। মহাদেশিয় আসরের আগে নিজেদের পরখ করে দেখার এটাই শেষ সুযোগ টাইগার ক্রিকেটারদের সঙ্গে। সিরিজের প্রতিপক্ষ আপাতদৃষ্টিতে খানিক দুর্বল হলেও নিজেদের ফর্মের সঙ্গে বড় লড়াই অপেক্ষা করছে লিটন দাসদের জন্য।
টি-টোয়েন্টিতে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বাংলাদেশ বরাবরই দুর্দান্ত। দুদলের পাঁচ দেখায় বাংলাদেশের হার মাত্র এক ম্যাচে। সেটাও ২০১২ সালে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির সময়ে। এক যুগের বেশি সময় ধরে ডাচদের বিপক্ষে অজেয় টাইগাররা। যদিও হোবার্ট বা ধর্মশালার ম্যাচগুলোতে টাইগারদের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং ম্যাচই উপহার দিয়েছিল ডাচরা।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল কোচ ফিল সিমন্স বলেন, ‘আমরা যদি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারতাম, তাহলে সমালোচনা আমাদের। তাই আমাদের চেয়ে পিছিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে হারা কোনো খারাপ বিষয় না। কারণ ভালো না খেললে আমাদের সমালোচনা হবেই। তারা ভালো খেললে তরাই জিতবে। আমরা ভালো খেলার দিকে নজর দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন:
টাইগার ক্রিকেটে আপাতত বইছে স্বস্তির সুবাতাস। তবে হোঁচট খাওয়ার ভয়টাও প্রবল। ম্যাচ হারলে সইতে হবে সমালোচনার চাপ। কোচ ফিল সিমন্স অবশ্য এতে বিচলিত না। সমালোচনাকে একপাশে রেখে ভালো ক্রিকেটই উপহার দিতে চান ক্যারিবিয়ান এ কোচ।
নেদারল্যান্ডস জাতীয় ক্রিকেট দল কোচ রায়ান কুক বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট যেকোনো দিনে যেকেউই জিততে পারে। সম্প্রতি তারা বেশ ভালো ক্রিকেট খেলছে। তবে আমরাও নেদারল্যান্ডসে ভালো উইকেটে প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি।’
নেদারল্যান্ডসের জন্য সবচেয়ে বড় ভরসার নাম কোচ রায়ান কুক। এক সময় বাংলাদেশের কোচিং প্যানেলে ছিলেন। টাইগারদের খেলার ধরণ, উইকেট তার নখদর্পণে। শক্তিমত্তায় বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও তাই প্রত্যাশা করছেন ভালো ফলাফলের।
পরিসংখ্যান বলছে ডাচদের বিপক্ষে আগের সবগুলো জয় এসেছে ব্যাটিং ইউনিটের কল্যাণে। জয় পাওয়া চার ম্যাচের তিনটিতেই ম্যাচ সেরা ছিলেন ব্যাটাররা। সিলেটের রানপ্রসবা উইকেটেও তাই বাড়তি নজর থাকবে বাংলাদেশের ব্যাটারদের ওপরে।