আন্তর্জাতিক সূচির মোড়কে এশিয়া কাপের প্রস্তুতি। সেপ্টেম্বরের মহাদেশীয় আসরের আগে নিজেদের পরখ করে নেয়াই এই সিরিজে বাংলাদেশের লক্ষ্য। তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও তাই পূর্ণ শক্তির একাদশকেই মাঠে নামালো স্বাগতিকরা। মাঠেও পারফরম্যান্স ছিল প্রত্যাশা মতোই। বোলিং বিভাগে তাসকিনের ৪ উইকেটের পাশাপাশি মুস্তাফিজ-মেহেদিদের আঁটসাঁট বোলিংটাই গড়ে দিয়েছিলে জয়ের ভিত।
ম্যাক্স ও ডড শুরুটা করেছিলেন আগ্রাসী। কিন্তু ৩ চার এবং ১ ছয়ের পর তাকে থামতে হলো তাসকিনের কাছে। বিক্রমজিৎকেও ইনিংস বড় করতে দেননি এই পেসার। মাঝে তেজা নিদামানুরু এবং স্কট এডওয়ার্ডস ইনিংস মেরামতে নজর দিয়েছেন। একইওভারে তাদের প্যাভিলিয়নে পাঠিয়েছিলেন সাইফ হাসান। আর মুস্তাফিজ শাহরিজকে ফেরালে বড় স্কোরের স্বপ্নটাই মিলিয়ে যায় ডাচদের।
আরও পড়ুন:
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগার তাসকিনের। সেটারই পুনরাবৃত্তি হলো আবার। নিজের শেষ দুই ওভারে তাসকিন পেয়েছিলেন আরও দুই উইকেট। তাতেই ২০ ওভারে ১৩৬ রানে গিয়ে থামতে বাধ্য হয় সফরকারীরা।
ব্যাট হাতে ঝড়টা উঠেছিল শুরুতেই। ইনিংসের প্রথম তিন বলেই ২ চার আর ১ ছক্কা এলো পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাট থেকে। যদিও ইনিংসটাকে ১৫ রানের বেশি নিতে পারেননি। আরিয়ান দত্তের বলে বোল্ড তিনি। ক্রিজে নেমে অধিনায়ক লিটন দাস খেললেন আদর্শ ক্যাপ্টেন্স নক। ২৯ বলে ৫৪ রান তার উইলো থেকে। দেশের ক্রিকেটে এই ফরম্যাটে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ১৩ ফিফটির মালিক এখন লিটন। অপর পাশে তাকে সঙ্গ দিয়েছিলেন তানজিদ তামিম। ২৪ বলে ২৯ রান আসে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে।
লিটনকে সঙ্গে নিয়ে শেষ করেছেন সাইফ হাসান। দীর্ঘদিন পর স্কোয়াডে ফিরেছেন। ফেরাটাকে স্মরণীয় করে রেখেছেন ১৯ বলে ৩৬ রানের মারকুটে ইনিংসে। সেই সঙ্গে নিশ্চিত করলেন ৮ উইকেটের বড় জয়টাও।