ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বেশ জমজমাট আয়োজনে নারীদের ফুটবলে ফ্রাঞ্চাইজির শুরুর ঘোষণা দেয় বাফুফে। ব্যাস এ পর্যন্তই হয়তো দায়িত্ব শেষ মনে করেছেন আয়োজকরা। তা না হলে দীর্ঘ দুই বছরের বেশিসময় পেরিয়ে গেলেও কেন ঘোষণা আর আয়োজনের মধ্যেই আটকে আছে কোটি টাকার ফ্রাঞ্চাইজি লিগটি?
দেশের ফুটবলে যে নারীদের হাত ধরে লেগেছে পালা পরিবর্তনের হাওয়া, সেই নারীদের ঘরোয়া লিগের নড়বড়ে কাঠামো মজবুত করতে নেয়া উদ্যোগেও এত উদাসীনতা কর্তাদের। বারবার আশা দেখিয়েও হতাশ করেছে ফুটবলারদের।
তবে চলতি বছর কি ফুরোবে সেই অপেক্ষা?
বাফুফে সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম বলেন, ‘এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ খেলাগুলো একেবারে অক্টোবর পর্যন্ত। আবার নভেম্বরে আমাদের বাংলাদেশ-ভারতের হোম খেলা আছে। ক্যালেন্ডারে একটু চ্যালেঞ্জ আছে আমাদের। এই নভেম্বর বা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হবে। কিন্তু আমাদের এ বছরই করার ইচ্ছা আছে, ইনশাআল্লাহ।’
এতো গেলো ফ্রাঞ্চাইজি লিগের হালচাল। তবে পরপর দুবার সাফ জয়ীদের কোটি টাকা প্রাইজমানি প্রাপ্তির কী হলো? এখানেও ফ্রাঞ্চাইজি লিগের মতো একই অবস্থা। অর্থ পুরস্কার দেয়ার সুখবর দিয়েই খালাস দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
ফাহাদ করিম বলেন, ‘এটা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে ঠিকই, এটা নিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। এটা শুধু প্রক্রিয়ার ব্যাপার। আমাদের কিন্তু নারী ফুটবল এখন টপ প্রায়োরিটি আছে। আমরা কিন্তু শুধু একটা জিনিস নিয়েই কাজ করছি না, আমরা সার্বিকভাবে কাজ করছি। তাদের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেই সবকিছু করছি। ওই সিস্টেমের ভেতরই এটা আছে, সময়মতো হয়ে যাবে।’
দক্ষিণ এশিয়ার গণ্ডি পেরিয়ে অন্য প্রতিযোগিতার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট অর্জনে নারী ফুটবলারদের প্রতি আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ ফুটবল সংশ্লিষ্টদের।