ভুটানের বিপক্ষে গোল দিয়ে ঘরের মাঠের অভিষেক রাঙিয়েছিলেন হামজা চৌধুরী। জয় পাওয়া সে ম্যাচের পর সিঙ্গাপুর ম্যাচেও প্রত্যাশার পারদ ছিল আকাশচুম্বী।
ঘরের মাঠের স্বাগতিক দর্শকদের সমর্থনেও জিততে পারেনি হামজা-শমিত সোমরা। আর এরপর থেকেই কোচের পারফরম্যান্স নিয়ে শুরু হয়েছে কাটাছেঁড়া। জামাল ভূঁইয়ার না থাকা নিয়েও হয়েছে সমালোচনা।
বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক জাহিদ হাসান এমিলি বলেন, ‘গোল করা হচ্ছে অভ্যাসের বিষয়। যারা স্ট্রাইকার থাকে তারা আসলে গোল করে। আর মিড ফিল্ডার দিয়ে প্রতিদিন গোল করানো যাবে না। এই পজিশনে স্ট্রাইকারদের সুযোগ দিতে হবে।’
বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম বলেন, ‘জামালকে কেন নিচ্ছেন বা সব জায়গায় আগে দিচ্ছেন। তবে কেন জামালকে খেলাচ্ছেন? তাকে ব্যবহার করার অনেক জায়গা ছিল। আসলে তাকে ব্যবহার করা হয়নি।’
দেশের সাধারণ দর্শক থেকে শুরু করে বাফুফের বর্তমান কমিটির নির্বাহী সদস্য থেকেও এসেছে কোচ অপসারণের দাবি। সাবেক অধিনায়কদের কণ্ঠে গলদটা যেন গোড়াতেই।
সাবেক অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবর্তন করতে চাইলে পুরো কোচিং স্টাফকে নিয়ে চিন্তা করেন। শুধু হেড কোচ পরিবর্তনের চিন্তা না করে।’
মাস দুয়েক পর নতুন ফিফা উইন্ডো। এরপর আবারও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ হংকংয়ের বিপক্ষে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বাফুফের দিকে তাকিয়ে এমিলিরা।
বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক জাহিদ হাসান এমিলি বলেন, ‘কিছু কিছু জায়গায় ভুল না হলে আমরা ম্যাচ জিততাম। সুতরাং এই ভুলগুলো যেন পরের ম্যাচগুলোতে না হয় সেইরকম একজন কোচকে আমি সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে চাই।’
জাতীয় দলের হেডকোচের চেয়ার যেন হট সিট। ফলাফল নিজেদের পক্ষে আনার বিকল্প নেই, এমনকি এখানে আবগেরও জায়গা নেই বলে মত সাবেক অধিনায়কদের।