গত ২১ আগস্ট রাতে মৌলভীবাজার শহরের গীর্জাপাড়া এলাকা থেকে মাহবুব হাসানের ভাড়াবাসা থেকে একটি রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়।
চুরির ঘটনার পরপরই মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার এম. কে. এইচ. জাহাঙ্গীর হোসেনের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা এবং সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল খয়েরের তত্ত্বাবধানে কাজ শুরু করে পুলিশ।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ গাজী মো. মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই জয়ন্ত সরকার, এসআই হিরন কুমার বিশ্বাস, এসআই উৎপল সাহাসহ একটি টিম গঠন করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
তদন্তকালে পুলিশের এ বিশেষ টিম প্রায় ৪৭টি সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে চক্রের মূলহোতাসহ সংশ্লিষ্টদের শনাক্ত করে।
সদর থানার টিম গত ২৮ আগস্ট রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানাধীন চান্দুরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রথমে কিশোরগঞ্জের ছানা বাবু ওরফে অজিত দাসের ছেলে বাপ্পী দাস ওরফে বাপ্পী সরকার ওরফে সাগরকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুই আসামি তোফাজ্জল ওরফে তাফাজ্জল হোসেন এবং মো. বাবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন:
গ্রেপ্তারের সময় বাবুল হোসেনের হেফাজত থেকে একটি চোরাই পালসার মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
পরে আসামিদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার পলতাকান্দা গ্রামের বাসিন্দা জাকির হোসেন পটলের ছেলে সোহানের বাড়ি থেকে মামলার চোরাই যাওয়া রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেলসহ আরও তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
আদালতের নির্দেশে আসামিদের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে এনে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, একই স্থান (ভৈরব, পলতাকান্দা) থেকে আরও একটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ গাজী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এ পর্যন্ত মোট পাঁচটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার পলতাকান্দা গ্রামের সোহানের কাছে বিক্রি করে আসছিল। আমরা তাকে গ্রেপ্তারে কাজ করছি।’
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলো বাপ্পী দাস ওরফে বাপ্পী সরকার ওরফে সাগর (৩৫), তোফাজ্জল ওরফে তাফাজ্জুল হোসেন, মো. বাবুল হোসেন।