চোখে-মুখে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে খেলার স্বপ্ন, মিয়ানমারের ইয়াংগুনে তাই ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক বাংলাদেশের মেয়েরা। পুরোটা সময় জুড়েই বাহরাইনের ডিবক্সকে ব্যস্ত রাখে তহুরা-ঋতুপর্ণারা।
র্যাংকিংয়ে ৩৬ ধাপ এগিয়ে থাকা বাহরাইন পুরো ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে তেমন কোন পাত্তা পায়নি। বল পজিশন, আক্রমণ সব কিছুতেই বাংলাদেশের প্রাধান্য ছিল চোখে পড়ার মতো।
ম্যাচের ১০ মিনিটে লিড নেয় বাঘিনীরা। বাংলাদেশ অর্ধ থেকে বাড়ানো লম্বা বলে ফরোয়ার্ড শামসুন্নাহার দারুণভাবে বল রিসিভ করে বক্সে প্রবেশ করে বাহরাইনের গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল জালে পাঠান ।
পাঁচ মিনিট পর বাম প্রান্তে লম্বা ক্রস থেকে দারুণভাবে বল রিসিভ করে বাঁ পায়ের জোরালো কোনাকুনি শটে অসাধারণ এক গোলে স্কোরলাইন ২-০ করেন ঋতুপর্ণা।
৪২ মিনিটে শামসুন্নাহারের নেয়া শট ঠেকানোর চেষ্টা করেও পারেননি কোহাতি কিসকু। ৩-০ গোলের লিড পায় বাংলাদেশ।
প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে বাহরাইনের উপর ঝড় বইয়ে দেন তহুরা খাতুন। তিন মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করেন এই ফরোয়ার্ড। ৫-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধেও নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখে বাটলারের শিষ্যরা। ম্যাচের ৬০ মিনিটে শামসুন্নাহারের দ্বিতীয় গোলে ৬-০ গোলের লিড নেয় বাংলাদেশ। ৭৪ মিনিটে বাংলাদেশের হয়ে কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেন মুনকি। ৭-০ গোলের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।