সফলতার জন্য র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা দলগুলোর বিপক্ষে খেলার বিকল্প নেই: আফঈদা

নারী ফুটবল দলের প্রশিক্ষণ, ইনসেটে অধিনায়ক আফঈদা
ফুটবল
এখন মাঠে
0

নারী এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করা দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের ফল বলে মানছেন অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার। এদিকে বড় মঞ্চে সফলতার জন্য র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা দলগুলোর বিপক্ষে খেলার বিকল্প নেই বলে মনে করেন খেলোয়াড়রা। মিয়ানমার থেকে দেশে ফেরার পর খেলোয়াড়রা জানিয়েছেন তাদের সফলতার মন্ত্র সেই সাথে ফেডারেশনের কাছে ভবিষ্যতের চাওয়াগুলোও।

পিটার বাটলার, গেলো ক'মাস আগেও তিনি যেন ফুটবলারদের একাংশের কাছে ছিলেন খলনায়ক। কড়া হেডমাস্টারের মতো অবাধ্য মেধাবী ছাত্রীদের দূরে ঠেলতেও কুণ্ঠাবোধ করেননি।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাময়িক ধাক্কা খেলেও বাটলারের প্রেসক্রিপশন মেনে ঋতুপর্ণা-তহুরারা দলে ফিরেই করেছেন মিয়ানমার দুর্গ জয়, এশিয়ান কাপে সুযোগ করে নিয়ে গড়েছেন ইতিহাস। স্বভাবতই এসেছে ঝড়-ঝঞ্চাটময় সময়ের কথা, যদিও বাংলাদেশের নাম্বার টেন তহুরা যেন স্বভাবসুলভাবেই প্রশ্নবানকেও করলেন ট্যাপ ইন। তরুণ উমেহলা মারমাও জানালেন সফলতার মূলমন্ত্র।

উমেহলা মারমা বলেন, ‘আমাদের কোচ যেভাবে ট্রেনিং করাচ্ছে সেভাবে করতে চাই। উনি আমাদের ওপর যেভাবে আশা রাখছেন ওনার সব আশা পূরণ করতে চাই।’

জাতীয় নারী ফুটবল দলের আরেক খেলোয়াড় তহুরা খাতুন বলেন, ‘যখন মাঠে খেলি তখন বাইরের কথা মাথায় আসে না। কিন্তু একটা প্লেয়ারের যেটা জরুরি কীভাবে উন্নতি করতে হবে সেটা আমাদের মাথায় থাকে।’

সাফ তো জেতা হয়েছে একাধিকবার। এবার প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ইরানের মতো পরাশক্তি। তাদের বিপক্ষে লড়াই করে স্বপ্নের গণ্ডিটা এশিয়া পেরিয়ে আরো বড়।

বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার বলেন, ‘অলিম্পিকটা যেন কোয়ালিফাই করতে পারি আমাদের প্রথম টার্গেট থাকবে ওইটা। ওয়ার্ল্ড কাপ এখনো পরে। ফুটবল হচ্ছে টিম ওয়ার্ক। আমরা টিম হিসেবে কাজটা করেছি।’

এশিয়ার বড় মঞ্চে মেয়েদের মেলে ধরতে যাবতীয় সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে ফুটবল ফেডারেশন। অভিভাবক সংস্থা থেকে ফুটবলারদের চাওয়া কি?

আফঈদা খন্দকার বলেন, ‘স্যার এর কাছ থেকে আমাদের যেটা চাওয়ার ভালো ফ্যাসিলিটিজ। যেমন মাঠের ফ্যাসিলিটিজ, তারপর খাওয়া-দাওয়া, তারপর জিমের ইক্যুইপমেন্টস। এগুলোই আমাদের চাওয়া।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে যদি জাতীয় লিগ হয় তাহলে জাতীয় দলের পাশাপাশি জেলা পর্যায়ে যেসব প্লেয়ার উঠে আসছে তাদের জন্য সুবিধা হবে।’

সিনিয়র দলের দায়িত্ব আপাতত শেষ। ১১ জুলাই মাঠে গড়াবে সাফ অনূর্ধ্ব ২০ চ্যাম্পিয়নশিপ। আফঈদাদের মনোযোগ এখন সেদিকেই।

এএইচ