ভেনেজুয়েলায় আটক থাকা ১০ মার্কিন নাগরিক মুক্ত

মুক্ত হওয়া ১০ মার্কিন নাগরিক
উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

ভেনেজুয়েলায় আটক থাকা ১০ জন মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে দেশটির সরকার। গতকাল (শুক্রবার, ১৮ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সমন্বিত প্রচেষ্টায় এই নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

গতকাল বিবৃতিতে রুবিও বলেন, ‘ভেনেজুয়েলায় মার্কিন নাগরিকদের যেভাবে যথাযথ বিচারপ্রক্রিয়া ছাড়াই আটক করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।’

তিনি এই মুক্তিতে স্টেট ডিপার্টমেন্ট, অন্যান্য সংস্থা এবং বিশেষ করে এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নাইব বুকেলেকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি তিনি ভেনেজুয়েলার রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তিকেও স্বাগত জানান এবং আরও বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানান।

অন্যদিকে বার্তা সংস্থা এপি জানায়, এই বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত প্রায় ৩০০ ভেনেজুয়েলান অভিবাসীকে এল সালভাদরের ‘সন্ত্রাস দমন কেন্দ্র’ নামে পরিচিত একটি কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিবাসীদের আবাসনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র এল সালভাদর সরকারকে প্রায় ৬০ লাখ ডলার দিয়েছে। ওই কারাগারে নির্যাতন, মৃত্যুর ঘটনা এবং আইনজীবীদের প্রবেশাধিকার সীমিত। এমন তথ্য জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

বিশ্লেষকদের মতে, তিন দেশের জন্যই এটি একটি কৌশলগত ও কূটনৈতিক অগ্রগতি। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এটি বিদেশে আটক নাগরিকদের মুক্ত করার সাফল্য, এল সালভাদরের জন্য রাজনৈতিক লাভ, আর ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরোর জন্য ক্ষমতার অবস্থান জোরদার করার সুযোগ।

২০২৪ সালের নির্বাচনের পর ভেনেজুয়েলায় অন্তত এক ডজন মার্কিন নাগরিকসহ বহু বিরোধী রাজনৈতিক নেতা ও মানবাধিকারকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পশ্চিমা দেশগুলো ওই নির্বাচনকে অবৈধ দাবি করে বিরোধী প্রার্থী এডমুন্ডো গনজালেজকে বিজয়ী বলে স্বীকৃতি দেয়। গনজালেজ পরে গ্রেপ্তার এড়াতে স্পেনে পালিয়ে যান।

এছাড়া চলতি বছরের মে মাসে একজন মার্কিন যুদ্ধবিধ্বস্ত সৈনিক ও এর আগে ছয়জন নাগরিককে মুক্তি দেয় ভেনেজুয়েলা। সবক্ষেত্রেই ট্রাম্প প্রশাসনের বিশেষ দূত রিচার্ড গ্রেনেল কূটনৈতিক আলোচনায় নেতৃত্ব দেন।

এই বন্দি বিনিময়কে কেন্দ্র করে মানবাধিকার সংগঠনগুলো অভিবাসীদের প্রতি আচরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও মার্কিন নাগরিকদের মুক্তিকে তারা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে।

এসএস