শিরোপার শেষ সম্ভাবনা বাঁচাতে পারবেন এমবাপ্পে?

রিয়াল মাদ্রিদ তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে
ফুটবল
এখন মাঠে
0

বছর যেতে না যেতেই রিয়াল মাদ্রিদ তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নামতে হচ্ছে তার সাবেক ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মাইনের (পিএসজি) বিপক্ষে। প্রথম মৌসুম শিরোপাহীন থাকা ফরাসি তারকা নিজের প্রাক্তন ক্লাবকে হারিয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নিতে পারবেন কি না, শিরোপা জয়ের শেষ সম্ভাবনাটি আঁকড়ে ধরতে পারবেন কি না— জানা যাবে আজ (বুধবার, ৯ জুলাই) রাতেই।

এমবাপ্পে ছিলেন চোখের মণি, ক্লাব ছাড়ার পর পিএসজির সমর্থকদের কাছে হয়ে গিয়েছেন খলনায়ক। এমবাপ্পের সঙ্গে সাবেক ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মাইনের সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে খবর হয়েছে বহু।

ক্লাবটির মালিক নাসের আল খেলাইফির অনেক অনুরোধ সত্ত্বেও ফ্রান্স ছেড়ে তিনি পাড়ি জমান স্পেনে। এরপরই পিএসজির সঙ্গে বাধে সব ধরনের বিপত্তি। বেতন-বোনাস আটকে দিলে আইনের দ্বারস্থ পর্যন্ত হয়েছেন এমবাপ্পে।

প্যারিসের ক্লাবটির সঙ্গে কিলিয়ানের মাঠের বাইরের লড়াই চলছে। সেসবের সমাধান হতে না হতেই পিএসজির বিপক্ষে মাঠের লড়াইয়ে নামতে হচ্ছে ফরাসি তারকাকে। প্রথমবারের মতো সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে খেলবেন বিশ্বকাপজয়ী এ তারকা।

পিএসজিকে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধের পাশাপাশি মৌসুমে কোনো শিরোপা না জিততে পারা রিয়ালকে ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ের প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রেখে এক ঢিলে দুই পাখি মারার সুযোগটাও থাকছে কিলিয়ান এমবাপ্পের কাছে।

অসুস্থ থাকায় ক্লাব বিশ্বকাপের যাত্রায় কিলিয়ানকে রেখেই আমেরিকা আসে রিয়াল মাদ্রিদ। শেষ ষোলোতে রিয়ালের হয়ে য়্যুভেন্তাসের বিপক্ষে অভিষেকের ম্যাচে সুযোগ পেলেও ম্যাচে নিষ্প্রভ ছিলেন এ ফরাসি তারকা।

কোয়ার্টার ফাইনালেও জাভি আলোনসো শেষ দিকে মাঠে নামান এমবাপ্পেকে। মাত্র তেইশ মিনিট সময় পেয়ে এদিন অবশ্য আলো কেড়েছেন ফরাসি তারকা। অতিরিক্ত সময়ে তার করা গোলটিই ডর্টমুন্ডের সাথে জয় এনে দেয় রিয়ালকে।

ম্যাচের আগে প্রেস কনফারেন্সে লুইস এনরিকেকে প্রশ্ন করা হয় সাবেক শিষ্যকে নিয়ে। অতীত নিয়ে ভাবতে চাননা এমন উত্তর দিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন তিনি। এনরিকের উত্তরেই বোঝা যায়, এমবাপ্পে তার সাবেক ক্লাবে এখন কেবলই বিরক্তির নাম।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতে ক্লাব বিশ্বকাপে এসেছে পিএসজি। সঙ্গে 'লিগ আ'সহ ঘরোয়া আরও দুই শিরোপা জিতে লুইস এনরিকের শিষ্যরা পূরণ করেছে ট্রেবল।

তাই মানসিক দিক থেকে ফরাসি ক্লাবটি স্বভাতই একটু এগিয়ে থাকবে। অন্যদিকে ট্রফিহীন রিয়ালের কাছে বেঁচে আছে কেবল-ই ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপার এই একটি স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে কতটা অবদান রাখতে পারবেন এমবাপ্পে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

এসএইচ