অনূর্ধ্ব-২০ সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ: নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের উদযাপন
ফুটবল
এখন মাঠে
0

শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ড্র-ই যথেষ্ট ছিল, কিন্তু বাংলাদেশ নারী দলের ছিল শুধু এক লক্ষ্য— জয়। মাঠজুড়ে তাই দেখা গেছে দাপট, চোখে মুখে ছিল আত্মবিশ্বাস, আর শেষ বাঁশির সঙ্গে সঙ্গে ছিল বাঁধভাঙা উদযাপন। সাগরিকার জাদুকরী হ্যাটট্রিকে উড়লো লাল-সবুজ, আর অনূর্ধ্ব-২০ সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ ঘরে তুললো বাংলার বাঘিনীরা।

বিজয়ের শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই মাঠজুড়ে বাঁধভাঙা উল্লাস— একদিকে চোখেমুখে আনন্দের অশ্রু, অন্যদিকে বিজয়ীর উদযাপন নৃত্য, স্লোগান, লাল-সবুজের পতাকার উচ্ছ্বাস। 

কোচ, খেলোয়াড়, সাপোর্ট-স্টাফ সবাই মিলেই যেন এক পরিবার, এক হৃদয়। গ্যালারি থেকে মাঠ সবখানেই ছিল শুধু এক সুর— বাংলাদেশ..বাংলাদেশ!

টুর্নামেন্টের শিরোপা ঘরে রাখতে অলিখিত ফাইনালে শক্তিশালী নেপালের বিপক্ষে করতে হবে ড্র— এমন সমীকরণের ম্যাচে  ৯ পরিবর্তন নিয়ে পূর্ণ শক্তির একাদশ সাজান পিটার বাটলার। ম্যাচের আগে মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনার সমবেদনা জানিয়ে এক মিনিটের নীরবতা।

নীরবতা ভেদ করে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের পসড়া সাজান সাগরিকা-শান্তি মার্ডিরা। ফলশ্রুতিতে সাগরিকা গোলমুখ খোলেন ৭ মিনিটেই। 

ম্যাচের ২০ মিনিটের মাথায় নেপালের নিশ্চিত গোলে বাধা হয় বার-পোস্ট, এরপরের গল্পটা শুধুই বাংলাদেশের। প্রথমার্ধে আরও বেশ কয়েকটি আক্রমণ করলেও কখনও তা থামে ডিফেন্সে আবার কখনও পোস্টের বাইরে। ১ গোলের লিডেই শেষ হয় প্রথমার্ধ। 

বিরতির পর যেন ক্ষুধার্ত বাঘিনী রূপে নামেন সাগরিকা, দ্বিতীয়ার্ধের পনেরো মিনিটের মধ্যেই আরো দু’টি গোল করে হ্যাটট্রিক করেন সাগরিকা। দু’টি গোলই যেকোনো ফরোয়ার্ডের জন্য যেন স্বপ্ন।

ম্যাচের ৭২ মিনিটে নাম্বার টেনের হেডে করা গোল অফসাইডে বাদ পড়লেও, নিজের চতুর্থ গোল করতে মিনিট পাচেক সময় নেন উত্তরের এ স্ট্রাইকার।

ম্যাচের বাকি সময় আর গোল না হলেও আক্রমণের ধার শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত বজায় রেখেই মাঠ ছাড়ে বাংলার বাঘিনীরা।

ম্যাচে অসাধারণ পারফরম্যান্স করায় স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরা সাগরিকা। অন্যদিকে টুর্নামেন্টজুড়ে গ্লাভসহাতে নৈপুণ্য দেখিয়ে সেরা গোলরক্ষকের পুরষ্কার গেছে মিলি আক্তারের হাতে।

রূপালি ট্রফি তুলে দেবার ঘোষণা আসতেই সাফের ট্রফি হাতে নিয়ে বিজয়ের উল্লাসে ভাসলেন বাংলার বাঘিনীরা। আনন্দের বাঁধভাঙা জোয়ারে গ্যালারি থেকে মাঠ সবই রঙিন লাল-সবুজে।

এসএইচ