২০২১ সালে সর্বশেষ আয়োজিত হয় জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। বাফুফের নতুন কমিটির অধীনে ৩ বছর পর আবার ও মাঠে গড়াচ্ছে এ টুর্নামেন্ট।
জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ, অ-১৭ ও নারী বয়স ভিত্তিক টুর্নামেন্টের জন্য বাফুফেকে ১০ কোটি টাকা প্রদান করবে সরকার। তারুণ্যের উৎসবের আওতায় সরকারের কাছ থেকে এই আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে বাফুফে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন যে আমরা এরইমধ্যে ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউন্সিল থেকে ৫ কোটি টাকা দিয়েছি এবং মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের অর্থ বিভাগকে যে বরাদ্দ দেয়া হয় সেখান থেকে ৫ কোটি টাকা দিয়েছি।’
মন্ত্রণালয় থেকে বাফুফে বড় আর্থিক সহায়তা পেলেও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্দেশনা মানতে উদাসীন ফুটবল কর্তারা। সিঙ্গাপুর-ভুটান ম্যাচের টিকিট বিক্রির আয় থেকে ১৫ শতাংশ, টিভি রাইটস থেকে ১০ শতাংশ অর্থ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ চাইলেও এখনো দেয়নি বাফুফে।
আরও পড়ুন:
বিগত সরকারও ফুটবল উন্নয়নের জন্য ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল বাফুফেকে। সেই টাকার সঠিক হিসাব প্রদান করতে পারেনি ফেডারেশনের তৎকালীন কমিটি। তবে সরকারের হিসাবের স্বচ্ছতার জন্য আলাদা ব্যাংক হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান কমিটি।
আগামী ৩ মাস ৬৪ জেলায় হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে হবে এবারের টুর্নামেন্ট। জুলাই শহীদদের নামানুসারে ৮ টি প্লটে ভাগ হয়ে খেলবে সব দল।
আগামী নভেম্বর মাসের শেষ দিকে হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল। বিগত সরকারের আমলে দীর্ঘদিন জেলা পর্যায়ের খেলা বন্ধ থাকলেও ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনে এখন ভিন্ন রূপ।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি বলেন, যেখানে আমাদের জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশেন পরিপূর্ণভাবে কার্যকর আছে তারাই এ খেলাগুলোর আয়োজন করবে এবং ডিসি মহোদয় সেটার দেখভাল করবেন।
বাংলাদেশ ফুটবলের লীগের অধারাবাহিকতার মাঝেই জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে মূলত তৃণমূলের খেলোয়াড় বের করে আনতে চায় বাফুফে। তবে পুরো আয়োজনে অর্থ বরাদ্দ নিয়ে থাকছে ধোঁয়াশা।