নেপালের বিপক্ষে বিকেলে মাঠে নামছে বাংলাদেশ, দলে নেই হামজা-শোমিত

ফুটবল
এখন মাঠে
0

ফিফা টায়ার-ওয়ান প্রীতি ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে আজ (শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। দলে নেই দুই বড় তারকা হামজা চৌধুরী এবং শমিত সোম। নেপাল ম্যাচে তাই নিজেদের প্রমাণ করার বড় চ্যালেঞ্জ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যদের সামনে। এ দুই ম্যাচ দিয়েই অক্টোবরে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচের প্রস্তুতি নেবে বাংলাদেশ।

২০২৫ সাল দেশের ফুটবলে নিয়ে এসেছে নতুন এক জোয়ার। একাধিক প্রবাসী খেলোয়াড়ের আগমন জাতীয় দলকে নিয়ে বাড়িয়েছে প্রত্যাশা। যদিও হামজা চৌধুরী-শমিত সোমদের নিয়ে গড়া বাংলাদেশ দল সিঙ্গাপুরের নিজেদের প্রথম বড় পরীক্ষায় জয় পাননি।

অক্টোবরে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ। তার আগে নিজেদের প্রস্তুতি যাচাই করতে ক্যাবরেরা শিষ্যরা এখন নেপালে। সেখানে আজ বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে স্বাগতিকদের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

নেপাল সফরের এ দল অবশ্য শক্তিমত্তায় পূর্বের তুলনায় খানিক পিছিয়েই থাকছে। ইনজুরি সমস্যার কারণে এ সফরে দলের সঙ্গে নেই হামজা-শমিতরা। অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে ভিয়েতনামে ব্যস্ত কিউবা মিচেল, ফাহামিদুল ইসলামসহ জাতীয় দলের একাধিক সদস্য। তবু এ দলকে পিছিয়ে রাখতে চান না কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা।

তিনি বলেন, ‘হামজা নেই, শোমিত নেই, অনেকে অনূর্ধ্ব-২৩ দলে খেলছে। তবে কয়েক মাস আগেও আমরা প্রায় একই দল নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে খেলেছি। এ দলের ৯৫ শতাংশ খেলোয়াড়ই ছিল ২০২৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। সেখানে আমরা দারুণ খেলেছি। এছাড়া লেবানন, ফিলিস্তিন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রায় শতভাগ খেলোয়াড়ই তখন দলে ছিল। তাই আমরা শক্তিশালী দল এনেছি এখানে, দ্বিতীয় সারির দল নয়।’

আরও পড়ুন:

ক্যাবরেরা দলকে পিছিয়ে রাখতে না চাইলেও পরিসংখ্যান বলছে ভিন্ন তথ্য। দুই দলের সবশেষ ১৪ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে চার ম্যাচে। হার পাঁচ ম্যাচে। বাকি পাঁচ ম্যাচ হয়েছে ড্র। আর ম্যাচ ভেন্যু দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের সবশেষ জয় এসেছিল ২০১৩ সালে।

এমনকি সবশেষ ম্যাচেও হার এসেছিল ৩-১ গোলে। তিক্ত সেই অভিজ্ঞতার কথা মনে রেখেছেন ক্যাবরেরা নিজেও।

হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য এখানে খেলা সবসময়ই কঠিন। আমার একমাত্র অভিজ্ঞতা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। হাফটাইমে বেশ বাজে পরিস্থিতি ছিলো। কঠিন একটা ম্যাচ ছিল ওটা। আমরা এবারেও কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রত্যাশায় আছি। তবে আশা করি এবার আমরাই ভালো করবো।’

প্রতিকূল পরিবেশে চেনা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এ দুই ম্যাচ থেকেই বাংলাদেশ প্রস্তুতি নেবে আরও বড় কিছুর জন্য। স্কোয়াডে কিছুটা ঘাটতি থাকলেও বাস্তবতার নিরিখে এ দলটিকেই নিতে হবে বড় চ্যালেঞ্জ। হামজা-শমিত-কিউবাদের ছাড়া এ স্কোয়াডের জন্য নেপাল ম্যাচটা তাই বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে।

এসএস