টাঙ্গাইলে আখের গুড়ের চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী, জমি থেকেই বিক্রি হচ্ছে আখ

টাঙ্গাইল
এখন জনপদে
কৃষি
0

টাঙ্গাইলে বেড়েছে আখের গুড়ের চাহিদা। তাই চাষের জমি থেকেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে আখ। নির্ভেজাল গুড় ভোক্তার কাছে পৌঁছে দিতে ও আখের চাষ বাড়াতে কৃষকদের সহযোগিতা করছে কৃষি বিভাগ।

চাহিদা থাকায় টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকায় দিন দিন বাড়ছে আখের চাষ। ভোরের আলো ফুটতেই জমি থেকে আখ কাটতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন প্রান্তিক কৃষকরা। কেউ আবার সেই আখ থেকে সংগ্রহ করছেন রস।

নাগরপুরের গয়হাটা গ্রামে ৩ বিঘা জমি লিজ নিয়ে আখ চাষ করেছেন স্থানীয় কৃষক বাবলু দেওয়ান। আখ চাষে খরচ করেছেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এই আখ থেকে গুড় তৈরি করে সাড়ে ৩ লাখ টাকা আয়ের আশা করেছেন তিনি।

আখ চাষি বাবলু দেওয়ান বলেন, ‘খুচরা বিক্রি করতে পারলে একটু পরিমাণে বেশি বিক্রি করতে পারি। যেটুকু আবাদ করেছি সেটা দিয়ে চাহিদা পূরণ করতে পারব না।’

২২০ লিটার আখের রসকে ৩ ঘণ্টা জাল দিলে তৈরি হয় এক মণ গুড়। আর প্রতি মণ গুড় বিক্রি হয় ৬ হাজার টাকায়। যেখানে রসের কালচে রং ও ময়লা দূর করতে শিমুল গাছের ছাল ব্যবহার করছেন কারিগররা। মানে ও স্বাদে ভালো হওয়ায় কৃষকের কাছ থেকেই গুড় কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, গুড়ের উৎপাদন বাড়াতে পারলে একদিকে কমবে চিনির দাম। অন্যদিকে তৈরি হবে নতুন কর্মসংস্থান।

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নাজমুস সাদেকীন বলেন, ‘এ ধরনের ব্যবসা করতে পুঁজি স্বল্প লাগে। এজন্য অনেকেই এটাতে আগ্রহী হবে। এতে সরকারি সহযোগিতা পেলে এই ব্যবসা দিয়ে তাদের দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে পারবে।’

কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, নাগরপুরে চলতি মৌসুমে ১৩৫ টন গুড় উৎপাদিত হবে। যার বাজার মূল্য প্রায় সোয়া ২ কোটির টাকা বেশি।

নাগরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার এস এম রাশেদুল হাসান বলেন, ‘এখানে আখ চাষ করে আমাদের কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। আমরা সরকারি বিভিন্ন প্রণোদনা, পুনর্বাসন এবং প্রদর্শনীর মাধ্যমে পরামর্শ দিয়ে কৃষকদের পাশে আছি।

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে জেলায় আখ উৎপাদনের পাশাপাশি ভেজালবিহীন গুড় উৎপাদন বাড়বে, এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

এএম