সুনামগঞ্জ থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে ছাতক উপজেলার মানিকপুর গ্রাম। গ্রামের প্রতিটি গাছের ডালে থোকায় থোকায় ঝুলছে লিচু।
জেলার লিচু চাষি আব্দুল হামিদ, যিনি ভাগ্য ফেরাতে সামান্য পুঁজি দিয়েই শুরু করেন লিচুর চাষ। আর সেই লিচু চাষেই মাত্র ১০ বছরেই হয়েছেন স্বাবলম্বী। প্রতি বছর আয় করছেন এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা। জেলার অন্যান্য কৃষকরাও লিচু চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে শুরু করেছেন লিচুর চাষ।
লিচু চাষি আব্দুল হামিদ বলেন, ‘প্রায় ৩০টি গাছ লাগিয়েছি। প্রতি বছর এক থেকে দেড় লাখ টাকা বা ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা আসে। এটা লাভজনকই, তবে এবার ঝড়ের কারণে কিছু লিচু নষ্ট হওয়ায় আমরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।’
লিচুর আবাদ যেন বদলে দিয়েছে গ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা। তবে যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না থাকায় সঠিক সময়ে লিচু বাজারজাত করতে পারছেন না চাষিরা। ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘প্রতিটি লিচু এখান থেকে ২ টাকা ৬০ পয়সা করে। যদি যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো হয়, দূর-দূরান্ত থেকে লোক আসবে।’
লিচুর ফলন বাড়াতে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ‘আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মূলত সার ব্যবস্থাপনা এবং বালাইনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দিই। পুরোনো জাতগুলোর পরিবর্তে যদি বাজারে চাহিদাসম্পন্ন নতুন বিদেশি জাতগুলোর চাষ করা হয় তাহলে চাষিরা আরো বেশি লাভবান হবেন।’
মানিকপুর গ্রামের ৬ হাজার লিচু গাছ থেকে অন্তত কোটি টাকার লিচু বিক্রি হবে বলে প্রত্যাশা চাষিদের।