মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের কৃষক লাভলু মিয়া। চলতি বছর ১২ বিঘা জমিতে পেয়ারা গাছ লাগিয়েছেন তিনি। যেখানে প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। তবে এখানে উৎপাদিত পেয়ারা বিক্রি করতে পারবেন আড়াই থেকে তিন লাখ টাকায়।
শুধু লাভলু মিয়া নন, জেলায় অনেকেই এখন ঝুঁকছেন দেশীয় এই ফল চাষে। মাটি ও আবহাওয়া ভালো হওয়ায় ফলনও হচ্ছে ভাল। এছাড়া সারাবছর চাহিদা থাকায় দামও ভালো মিলছে বলছেন স্থানীয় চাষিরা।
কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, মেহেরপুরে ১৪৭ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের থাই পেয়ারার বাগান রয়েছে। যেখান থেকে উৎপাদন হবে ৬ হাজার ৪শ ৬৮ টন পেয়ারা। যাতে বাণিজ্য হবে ৪৯ কোটি ৮০ লাখ টাকার বেশি।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, ‘আমাদের ১৪৭ হেক্টর পেয়ারা চাষ হচ্ছে। পেয়ারার সুবিধা হলো কমপক্ষে তিনবার ফলন হয়। এজন্য চাষিরা এটা করে থাকে। এছাড়া এখন বাজারে পেয়ারা দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে।’
মেহেরপুর সদরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা চায়না পারভিন বলেন, ‘পেয়ারা গাছের মধ্যে যে ফাঁকা জায়গা থাকে সেখানে আমরা বেড করে সবজি বা এক আনি জাতীয় ফসল চাষ করেও লাভবান হতে পারবে।’
গেল বছর এই জেলায় ১৩৫ হেক্টর জমিতে পেয়ারা চাষ হয়। সেখান থেকে উৎপাদিত প্রায় ৬ হাজার টন পেয়ারা। আর বাণিজ্য হয় ৪৫ কোটি টাকা।