বাড়ছে পাটের উৎপাদন ব্যয়, কাঙ্ক্ষিত দর পাচ্ছেন না চাষিরা

পাটের আগাছা পরিষ্কারে ব্যস্ত চাষিরা
এখন জনপদে
অর্থনীতি
0

প্রতি বছর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পাটের উৎপাদন ব্যয়। তবে বাজারে কাঙ্ক্ষিত দর পাচ্ছেন না চাষিরা। চলতি মৌসুমে ফরিদপুরে ৮৬ হাজার ৫৩১ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। পাট প্রক্রিয়াজাতকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে চাষিদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলছে কৃষি বিভাগ। এবারের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ১৬ হাজার ৩২৮ মেট্রিক টন পাট উৎপাদনের।

যতদূর চোখ যায় সবুজে বিস্তৃত মাঠ। বাতাসে দোল খাচ্ছে পাটের কচি পাতা। আগাছা পরিষ্কারে ব্যস্ত চাষিরা। পাট উৎপাদনে দ্বিতীয় শীর্ষ জেলা ফরিদপুর। পাটচাষে জড়িত জেলার প্রায় ৫ লাখ চাষি। গত এক মাসের কয়েক দফার বৃষ্টিতে এবার পাটের ফলন হয়েছে ভালো। তবে বীজ, সার, জ্বালানির দাম ও শ্রমিকের মজুরি বাড়ায় বিপাকে কৃষক। তারা বলছেন, সব মিলিয়ে পাটের উৎপাদন খরচ বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ।

পাট চাষিরা বলছেন, ইতোমধ্যে তাদের ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ১০ কাঠা জমি করতে আরো ২০ হাজারের মত খরচ হবে। চাষ ও প্রসেসিং করতে যে কস্ট, সেই অনুযায়ী দাম পান না তারা।

গেল মৌসুমে মণপ্রতি ২ হাজার ২ শ’ থেকে ২ হাজার ৮ শ’ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে পাট। এবার সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকায় পাট বিক্রি করতে না পারলে লোকসান গুণতে হবে বলছেন কৃষকরা। এজন্য কৃষি বিভাগের সহযোগিতা চান তারা।

তারা জানান, খরচ অনেক বেশি। কাটা, নিড়ানো সব মিলিয়ে অনেক খরচ যায়। কিন্তু সেই অনুযায়ী আমরা দাম পান না।

কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার বেশি জমিতে পাটের আবাদ করেছে। পাট প্রক্রিয়াজাতকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে চাষিদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ শাহাদুজ্জামান বলেন, ‘এবারের পাটের ভালো দিক হলো প্রথম দিকে খড়া থাকলেও পাট রোপণের পর থেকে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে জমিতে যেই রসের অভাব ছিলো তা আর নেই। আশা করি, এইভাবে চললে আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারবো।’

চলতি মৌসুমে জেলায় ৮৬ হাজার ৫৩১ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। ২ লাখ ১৬ হাজার ৩২৮ টন পাট উৎপাদনের আশা কৃষি বিভাগের।

ইএ