আজ (বুধবার, ৫ মার্চ) ওসি মুহাম্মদ মুমিন খান জানান, কোকরহাটি গ্রামের বলড়া ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি ইউসুফ আলীর বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম হামলা করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও অভিযোগপত্র অনুযায়ী, বলড়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ইউসুফ আলী অভিযোগ করেন, গত সোমবার (৩ মার্চ) রাত ১১টার দিকে বলড়া ইউনিয়নের কোকরহাটি গ্রামে আব্দুল করিম, মো. সুজন, সাইফুল, মাসুদ, মো. রতন, মানিক, সোহেল, রুবেল, সজল ও রিংকুর নেতৃত্বে পাঁচ থেকে সাত জন হামলা চালায়।
তারা দেশিয় অস্ত্রসহ তার বাড়ির গেট ভেঙে ফেলে এবং ভেতরে প্রবেশ করে স্ত্রী ও ছোট ছেলেকে মারধর ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। হামলাকারীরা তার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে এবং আলমারি ভেঙে তিন লাখ টাকা নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তবে এ অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে যুবদল নেতা আব্দুল করিম বলেন, 'আমার ভাগ্নেকে ইউসুফ চাচার ছেলে নিবির মারধর করলে এ বিষয়ে জানতে আমি ওই বাড়িতে যাই। তখন নিবিরসহ কয়েকজন কিশোর গ্যাং আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা কোনো ভাঙচুর করিনি বা কাউকে মারধর করিনি। বরং, আমার ভাগ্নেকে মারধরের ঘটনায় আমরাও থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।'
এ বিষয়ে ইউসুফ আলীর বড় ছেলে আবির হোসেন বলেন, 'শীতের সময় ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে করিম ভাইয়ের লোকজনের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল। সেই জের ধরে করিম ভাইয়ের ভাগ্নে (১২-১৩ বছর বয়সী) গত কয়েকদিন ধরে আমার ছোট ভাই নিবিরকে ফোনে হুমকি দিচ্ছিল। সোমবার রাতে মসজিদে নামাজের সময় নিবির এর কারণ জানতে চাইলে বাকবিতণ্ডা হয় এবং একপর্যায়ে সে করিমের ভাগ্নেকে থাপ্পড় দেয়। এর জের ধরেই রাতে করিম ভাইয়ের লোকজন এসে আমার মাকে মারধর করে, মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে এবং আমার বাবার মালামাল কেনার জন্য রাখা তিন লাখ টাকা নিয়ে যায়।'
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামিম আহমেদ বলেন, 'আমি বিষয়টি শুনেছি।'
হরিরামপুর থানার ওসি মুহাম্মদ মুমিন খান বলেন, 'আমরা দুটি পক্ষেরই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।'