সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী সাইদুল ইসলাম ফালান। এসময় তার স্ত্রী আখি আক্তার ও মা উপস্থিত ছিলেন।
সাইদুল ইসলাম জানান, তার বাবা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য আব্দুর রশিদ খলিফা ২০০৫ সালে মালেক নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে এরশাদনগর বড়বাজার এলাকায় একটি দোকানঘর কিনে ডেকোরেটরের ব্যবসা শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালের পর থেকে দোকানটি বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে ভাড়া দেওয়া হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে ব্যবসায়ী পরিচয়ে দোকানটি ভাড়া নেন টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাজ মিয়া।
তবে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দোকান দখলের পাঁয়তারা শুরু করেন মিরাজ মিয়াসহ স্থানীয় বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম কামু ও ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন, জিসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বাবুল চৌধুরী, ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল জলিল ও বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন:
২০২৪ সালের ২৯ অক্টোবর টঙ্গী পূর্ব থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আমার মা মরজিনা বেগম। অভিযোগ দায়েরের কিছুদিন পর তাদের দখল চেষ্টা বন্ধ থাকে।
পরবর্তীতে চলতি বছরের জুলাই থেকে ফের তারা দোকানটি দখলের চেষ্টা চালান। একপর্যায়ে দোকান দুটি অথবা সাত লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন অভিযুক্তরা।
এ ঘটনায় গত ২১ আগস্ট টঙ্গী পূর্ব থানায় পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে গত ৩১ আগস্ট রাতে অর্ধশতাধিক অস্ত্রধারী আমার পরিবারকে বাসায় অবরুদ্ধ করে দোকান দখল করে 'স্বেচ্ছাসেবক দলের কার্যালয় সম্বলিত ব্যানার' টানিয়ে দেন।
সাইদুল ইসলামের স্ত্রী আঁখি আক্তার বলেন, ‘ঘটনার পর বিষয়টি পুলিশকে জানালেও পুলিশ পক্ষপাতমূলক আচরণ করেন। এছাড়াও অভিযুক্তরা তাদেরকে ফ্যাসিস্টের দোসর দাবি তুলে ছাত্র হত্যার মামলা দিয়ে হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম কামুর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও মাদকসহ অন্তত ২০টি মামলা রয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম কামু বলেন, ‘ওই দোকানঘরটি আগে সাবেক ১২ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের কার্যালয় ছিল। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সাইদুল ইসলামের বাবা কার্যালয়টি ভেঙে জোরপূর্বক দখল করে নেয়। তাদেরকে দোকানটি ছেড়ে দেয়ার জন্য বেশ কয়েকবার জানানো হয়েছিল। তারা না ছাড়ায় আমরা প্রশাসনিক সব জায়গায় জানিয়ে কার্যালয়টি ফের উদ্বোধন করেছি।’