জুলহাসের উড়োজাহাজ দেখতে যমুনার চরে ভিড়

মানিকগঞ্জ
এখন জনপদে
0

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার তরুণ উদ্ভাবক জুলহাস রহমান নিজের তৈরি উড়োজাহাজ উড়িয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন। গত ৪ মার্চ যমুনার চর জাফরগঞ্জে আনুষ্ঠানিকভাবে উড়োজাহাজটি উড়িয়ে দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন তিনি। চার বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রমের পর তার তৈরি উড়োজাহাজটি আকাশে উড়তে সক্ষম হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর প্রতিদিনই হাজারো দর্শনার্থী যমুনার চরে ভিড় করছেন উড়োজাহাজটি দেখতে।

আজ (রোববার, ৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত পাইলট ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ আল ফারুক হেলিকপ্টারে করে জাফরগঞ্জে আসেন। তিনি উড়োজাহাজটি ঘুরে দেখেন। পরে, জুলহাস ও তার পরিবারকে নিয়ে কিছুক্ষণ আকাশ ভ্রমণ করেন।

এদিকে, জুলহাসের তৈরি উড়োজাহাজ দেখতে সকাল থেকেই যমুনার চরে ভিড় করেন স্থানীয় বাসিন্দাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা হাজারো দর্শনার্থী। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞরাও তার এই প্রচেষ্টাকে প্রশংসা করছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল লতিফ বলেন, ‘এলাকার একজন ছেলে নিজ হাতে উড়োজাহাজ বানিয়েছে, এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।’

রাজবাড়ী থেকে আসা কলেজ শিক্ষার্থী ফারদিন বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও দেখে আমরা চার বন্ধু মিলে এখানে এসেছি। সত্যিই অবিশ্বাস্য লাগছে।’

তরুণ উদ্ভাবক জুলহাস রহমান বলেন, ‘ছয় ভাই ও এক বোনের মধ্যে আমি ষষ্ঠ। দৌলতপুর উপজেলার জিয়নপুরের বিকেএস উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করার পর আমার আর পড়া হয়নি। আমি পেশায় একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান। ২০২১ সালে প্রথমবার রিমোট কন্ট্রোল প্লেন দেখে অনুপ্রাণিত হন তিনি। পেশায় ইলেক্ট্রিশিয়ান হলেও নিজের আগ্রহ থেকেই উড়োজাহাজ তৈরির গবেষণা শুরু করেন। ব্যর্থতার পরও হাল না ছেড়ে কাজ করতে থাকি। আমার এই উড়োজাহাজটি তৈরি করতে দেড় লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।’

জুলহাস আরো বলেন, ‘এই উড়োজাহাজটি গত ৪ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে জেলা প্রশাসকের সামনে উড়িয়েছিলাম। সেদিন অনেক সাংবাদিক ভাইরা আমার এ সংবাদ প্রচার করেন। আমাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দল থেকে আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি আমার কাজের সঙ্গে থাকার কথা জানান।’

ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, ‘জুলহাসের প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। ব্যালেন্সিং ভালো হওয়ায় উড়োজাহাজটি স্থিতিশীল থাকে। উপযুক্ত সহায়তা পেলে ভবিষ্যতে আরও উন্নত উড়োজাহাজ তৈরি করা সম্ভব।’

এএইচ