১২ ফুট চওড়া সড়কের ৬ ফুটের বেশি অংশ ভেঙে পড়ে গেছে খালে। যেটুকু অবশিষ্ট আছে সেটাও ভর্তি খানাখন্দে। এমনকি নেই অ্যাম্বুলেন্স চলাচলের সুযোগও। এমন পরিস্থিতি নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চরজুবলির পাঙ্খার বাজারের স্লুইস গেইট মার্কেট সড়কের।
একই চিত্র উপজেলায় খাসেরহাট-আক্তার মিয়ার হাট সড়ক, হারিস চৌধুরী বাজার-চৌধুরী বাজারসহ অন্যান্য সড়কগুলো অনেকদিন সংস্কার না করায় প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছেন স্থানীয়রা। প্রতিদিনই এসব সড়কে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘এখানে প্রতিনিয়ত ৫ থেকে ৬টি দুর্ঘটনা ঘটে, যাত্রী নেমে যেতে হয়। অনেক দূর থেকে মানুষ আসে, যারা অনেকেই জানে না, নতুন রাস্তায় আসে, ফলে দুর্ঘটনা ঘটে।’
আরেকজন বলেন, ‘যদি অতি দ্রুত এই রাস্তা মেরামত না করা হয়, তাহলে এটা নদীর গর্ভে চলে যাবে।’
যথাযথ পরিকল্পনা না করেই সড়ক নির্মাণ করায় বছর না পেরোতেই ভেঙে যায় রাস্তা। এছাড়া সড়কের দুইপাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা শতাধিক ইটভাটার ভারী গাড়ি চলাচলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সড়কটি। তাই স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত সড়ক সংস্কারের।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন যাবত কষ্ট করছি, আমাদের ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে পারে না এই ভাঙা রাস্তার কারণে।’
গত কয়েক বছরের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে বলে জানান স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মাহফুজুল হোসাইন বলেন, ‘ইতোমধ্যেই এই অর্থবছরের প্রায় ১০টি কাজ চলমান আছে। এছাড়াও প্রায় ১০০ কিলোমিটার সড়ক আমাদের সংস্কারের তালিকায় আছে।'
এলজিইডির তথ্য অনুযায়ী, সুবর্ণচর উপজেলার প্রায় তিনশ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ১০০ কিলোমিটারের বেশি সড়ক সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই সড়কগুলোর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আমরা প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি।