কক্সবাজারের চৌফলদন্ডীর প্রায় ১৭ একর লবণ মাঠে সনাতন পদ্ধতির সাথে ভারতীয় পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করে শুরু হয়েছে লবণ চাষ। এ পদ্ধতি প্রান্তিক চাষিদের মাঝে ছড়িয়ে দিলে কম খরচ ও সময়ে বৃদ্ধি পাবে উৎপাদন।
এদিকে, পরিবর্তন এসেছে মাঠের গঠনেও। সনাতন পদ্ধতির কাঁচা কোঠায় ৮-১০ ইঞ্চির বদলে তৈরি করা হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ ইঞ্চি আইল। ফলে সেখানে সংরক্ষণ করা যাচ্ছে ৩০-৩৫ ইঞ্চি পানি।
বৃষ্টির সময় সর্বোচ্চ তিন ইঞ্চি মিঠা পানি জমে থাকলেও, তা সরিয়ে দিয়েই আবারও শুরু করা যাচ্ছে চাষ। এতে আরো সাত-দশ দিন বসে থাকতে হচ্ছে না চাষিদের।
লবণ চাষের মৌসুম অক্টোবর থেকে মে পর্যন্ত আট মাস। এ সময় গড়ে বৃষ্টি হয় মাত্র চার থেকে পাঁচ দিন। তাই মাঠ পর্যায়ে এ পদ্ধতি বাস্তবায়ন হলে উৎপাদনশীলতা বাড়বে উল্লেখযোগ্য হারে। ফলে দেশে দানাদার ও পরিপক্ব লবণের উৎপাদন বাড়বে প্রায় তিন লাখ টন।
লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভুঁইয়া বলেন, ‘বর্তমান যে চাহিদা আছে সেটা পূরণ করতে হলে আমাদের যে জমি আছে সেখান থেকে আরো উৎপাদন বাড়াতে হবে। উৎপাদন ৪০০ থেকে ৪৫০ মণ বাড়ানোর লক্ষে আমাদের এই পাইলট প্রকল্প।’
নতুন পদ্ধতিতে লবণ চাষে নানা অভিজ্ঞতার কথা জানালেন মাঠের শ্রমিকরা।
লবণ শ্রমিকদের একজন বলেন, এখানের মাটি আর অন্য জায়গার মাটি আলাদা। এখানে হচ্ছে একটু বালু মাটি হয়।
এখন শুধু ভারত নয়, চীন ও জাপানের মতো দেশগুলোর পদ্ধতিও ধাপে ধাপে অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ নিচ্ছে বিসিক।
২০০৬-০৭ অর্থবছরে দেশে লবণ চাষ হতো প্রায় সাড়ে ৭০ হাজার একর জমিতে। চলতি অর্থবছরে তা নেমেছে প্রায় ৬৯ হাজার একরে। ফলে, উৎপাদন বাড়াতে এখন দরকার আধুনিক এই পদ্ধতির বিস্তার এবং প্রান্তিক চাষিদের প্রশিক্ষণ।