কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের দৃশ্য মুগ্ধ করে পর্যটকদের। এছাড়াও ২২ কিলোমিটার সৈকতে দর্শণীয় বেশ কয়েকটি স্পট রয়েছে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে বছরের প্রায় পুরোটা সময়ই পর্যটকের আগমন ঘটে সাগরকণ্যা কুয়াকাটায়। তবে পর্যটকদের জন্য এখানে গড়ে ওঠেনি উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
সৈকতের বিভিন্ন স্পট আর শৌখিন পণ্যের দোকানে যেতে বেগ পেতে হয় ভ্রমণ পিপাসুদের। এতে শতকোটি টাকার লোকসানে পড়ছেন স্থানীয় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা।
পর্যটকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘এখানে কষ্ট করে ঘুরতে আসি। আসলেও হাঁটার মতো কোনো ভালো রাস্তা নেই। হাঁটলে পা পিছলে যায়।’
ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘২টা রাস্তার কাজ দ্রুত শেষ হলে আমরা যারা এখানে ব্যবসায়ী আছি, প্রায় ৫০০ জন, তাদের জন্য বেশ সুবিধা হয়।’
গেল বছর সমুদ্রতীরে ২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে প্রায় ৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয় পৌর ও উপজেলা প্রশাসন। তবে যথাসময়ে নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় উদ্বিগ্ন স্থানীয় হোটেল মালিক ও ব্যবসায়ীরা।
কুয়াকাটায় বিনিয়োগকারী রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, ‘একটা লম্বা সময় ধরে এখানকার হোটেল-রিসোর্ট মালিকরা লোকসান গুনে আসছে। কারণ এই রাস্তা দিয়ে কোনো গাড়ি চলাচল করতে পারে না, মানুষ চলাচলেও অনেক সমস্যা হয়।’
কুয়াকাটা সকহারী কমিশনার ও পৌর প্রশাসক ইয়াসীন সাদেক বলেন, ‘আগামী ২ মাসের মধ্যেই ইনশাআল্লাহ প্রোজেক্টটি বাস্তবায়ন করতে পারবো। এটি বাস্তবায়ন হয়ে গেলে পর্যটকদের পাশাপাশি এটা কোস্টাল জোন হওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতির ক্ষেত্রেও এটা ভূমিকা রাখবে।’
কলাপাড়া বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদস্য সচিব মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আশা করছি আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই এটির কাজ সম্পন্ন হবে।’
পর্যটন খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, দর্শণার্থীদের আকৃষ্ট করতে যুগোপযোগী অবকাঠামো নির্মাণ করা গেলে স্থানীয় অর্থনীতি আরও বেগবান হবে।