আজ (শনিবার, ১৭ মে) সন্ধ্যা ৭টার পর নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ রেললাইনের চল্লিশার মগড়া নদীর ব্রিজের উপর লোকোমোটিভের পেছনের খাবার বগি সাথে বাকি বগির সংযোগ বিচ্ছিন্নের ঘটনা ঘটে। ফলে লোকোমোটিভ এবং খাবারের বগি নেত্রকোণা স্টেশনে চলে গেলেও ট্রেনের যাত্রীবাহী মোট ১২টি বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে থাকে রেললাইনের উপরেই।
স্থানীয়রা জানান, ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন থেকে নেত্রকোণা স্টেশনে আসার পথে চল্লিশার মগড়া নদীর ব্রিজের কাছে আসতেই হঠাৎ বিকট শব্দে ট্রেনের গতি কমতে থাকে। ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়লে যাত্রীরা নেমে দেখতে পায় বগি রেখেই চলে গেছে ইঞ্জিন।
ট্রেনের যাত্রী তনয় সাহা বলেন, ‘মোহনগঞ্জ যাওয়ার জন্য ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠে সন্ধ্যা সাতটার পর নেত্রকোনার চল্লিশার রেলক্রসিং পার হতেই হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পাই। পরে দেখতে পাই বগি রেখে চলে গেছে ইঞ্জিন। দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ট্রেনে বসেই অপেক্ষা করছি। কখন ইঞ্জিন আসবে কখন যাবো কোনো কিছুই বলতে পারছি না।’
ট্রেনের আরেক যাত্রী হযরত আলী বলেন, ‘বিকেল ৫টার দিকে ময়মনসিংহ থেকে ট্রেনে এসেছি বাড়িতে যাওয়ার জন্য। এমনিতেই আজকে ট্রেন অনেক দেরি করেছে। তার মধ্যে বৃষ্টির কারণেও ট্রেনের গতিও ছিল কম। কিন্তু হঠাৎ চল্লিশার মগড়া নদীর ব্রিজের উপর আসতেই ট্রেনের গতি কমতে থাকে। একপর্যায়ে ট্রেন পুরোপুরি থেমে গেলে আমরা নেমে দেখতে পাই ইঞ্জিন আর খাবারের বগি চলে গেলেও বাকি বগি রেললাইনেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় তিনটি বগি মগরা নদীর ব্রিজের উপরে রয়েছে।’
নেত্রকোনার সাতপাই রেলস্টেশন মাস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘লোকোমোটি ও খাবারের বগি স্টেশনে দুই নাম্বার লাইনে দাঁড়িয়ে খাবারের বগি রেখে পুনরায় বাকি বগি উদ্ধারে লোকোমোটিভ পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ময়মনসিংহ থেকে আরও একটি লোকোমোটি রাস্তায় রয়েছে। মূলত একটি বগির সাথে আরেকটি বগির সংযোগ স্থলের স্প্রিং ভেঙে যাওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। তবে আশা করি রাতের মধ্যেই রেল চলাচল স্বাভাবিক হবে।’