রোববার (২৫ মে) দিনব্যাপী এই অভিযান পরিচালিত হয়। ডিজিএফআই সাতক্ষীরা উপ-শাখার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর আশাশুনি ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মো. রাবীবের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন আশাশুনি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদুজ্জামান।
অভিযানে চিংড়িতে জেলি ও অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান পুশ করার সিরিঞ্জ, মেডিসিনসহ একাধিক আলামত জব্দ করা হয়েছে। তবে অভিযানের সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। চিংড়ি পুশ করার সেট দুটির মালিক হিসেবে স্থানীয়ভাবে চিহ্নিত হয়েছেন কাঁকড়াবুনিয়া গ্রামের শাহজাহান হোসেন এবং চাচাই গ্রামের আলমগীর হোসেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জব্দকৃত ৪৫৫ কেজি চিংড়ির মধ্যে পুশকৃত ১০০ কেজি আগুন দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। বাকি ৩৫৫ কেজি নিরাপদ চিংড়ি আশাশুনি ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণের প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা জেলা থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১২ হাজার কেজি চিংড়ি ঢাকায় পাঠানো হয়। এসব চিংড়ির একটি বড় অংশে পুশকৃত জেলি ব্যবহার করে ওজন বাড়ানোর অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এতে যেমন ভোক্তা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন, তেমনি দেশের চিংড়ি রপ্তানির সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, এ ধরনের অনৈতিক ও ক্ষতিকর কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে আরো কঠোর অভিযান পরিচালনা করা হবে।