তবে বছর জুড়ে দফায় দফায় গোখাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি, রোগবালাইয়ের উৎপাত আর দুধের সঠিক দাম না পাওয়ায় নানা সংকটে জেলার চার শতাধিক দুগ্ধ খামার। গেলো এক বছরেই বন্ধ হয়েছে শতাধিক খামার। এরপরও উৎপাদন হচ্ছে অন্তত আড়াইশ' কোটি টাকার দুধ।
স্থানীয় খামারিরা বলেন, ‘দুধের দামের তুলনায় গরুর খাবারের দাম বেশি। সেই হিসেবে লস হচ্ছে আমাদের। চাহিদা অনুযায়ী বাজারে দাম উঠা নামা করে। তবে ৫০/৫৫ তেই থাকে বেশিরভাগ সময় দাম।’
জেলায় বছরে তরল দুধের চাহিদা ৩ লাখ ৫০ হাজার টন হলেও উৎপাদন হয় ৩ লাখ ৬০ হাজার টনের বেশি। সবশেষ ২০২২ সালের বিবিএস এর খানা জরিপ বলছে' শহরে বসবাসকারী একজন মানুষের দৈনিক দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য গ্রহণের হার ৩৮ দশমিক ৫ মিলিলিটার। যা গ্রামের মানুষের মধ্যে ৩২ দশমিক ১ মিলিলিটার। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ডে প্রতিদিন ২৫০মিলি দুধ পানের নিয়ম থাকলেও গড়ে ৫০ মিলি লিটারের বেশি দুধ পান করছেন না মানুষ।
এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, ‘শেষ কবে গরুর দুধ খেয়েছি মনে নেই। অনেকে বলেন, ১৫ দিন আগে খেয়েছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন তারা নিয়মিতই তরল দুধ পান করছেন।’
দেশে দুধের চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশ পূরণ হয় প্রান্তিক খামার থেকে। তাই দুগ্ধ শিল্প রক্ষায় খামারি সংখ্যা বৃদ্ধি, উন্নত জাতের গাভী সম্প্রসারণ ও প্রাণিসম্পদ সেবা প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছানোর দাবি খামারিদের।
নাটোর জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জুলফিকার মো. আকতার হোসেন বলেন, ‘এলডিডিবি প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা আমাদের খামারিদের সহায়তা প্রদান করেছি। যেমন- আমরা খামারিদের প্রশিক্ষণ, দুধ দোহানোর মেশিন ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে অন্যদের ও উদ্বুদ্ধ করেছি যে এভাবে করলে ভালো হবে।’