আজ (শুক্রবার, ১৪ জুন) সকালে উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকায় যমুনা নদীতে তার মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয় লোকজন সেটি উদ্ধার করে।
দৌলতপুর থানা-পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১১ জুন দুপুর ২টার দিকে যমুনা নদীতে গোসল করতে নামেন ছয়জন। একপর্যায়ে পানির স্রোতে তারা ডুবে যান। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে চারজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হন। তবে নিখোঁজ হন বর্ষা খাতুন ও লামিয়া খাতুন।
নিহত বর্ষা উপজেলার বাচামারা পূর্ব পাড়া গ্রামের মো. আব্দুল বয়াতীর মেয়ে। তিনি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। আর নিখোঁজ হওয়া লামিয়া খাতুন একই গ্রামের মো. রাহেজ বয়াতীর মেয়ে।
এর আগে, খবর পেয়ে গত বুধবার বিকেলে আরিচা স্থল কাম নদী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজ দুইজনের উদ্ধারে কাজ শুরু করলেও কারও সন্ধান পাওয়া যায়নি। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যায় পর্যন্ত যমুনা নদীর বাচামারা পূর্বপাড়ায় অভিযান চালান ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা। গতকাল বৃহস্পতিবারও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, আজ শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকায় যমুনা নদীতে এক তরুণীর লাশ ভাসতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। পরে তাঁরা লাশটি উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে বর্ষার লাশ শনাক্ত করেন।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ আর এম আল-মামুন বলেন, নদীতে ডুবে নিখোঁজ হওয়া তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই। লাশ পরিবারের সদস্যরা লাশ বাড়িতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।