শেফালী বলেন, ‘গরম, যানজট ও ধুলোবালির কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। অবশেষে দুর্ভোগ নিয়ে ঢাকায় যেতে হচ্ছে।’
শুধু শেফালী নয়, তার মতো উত্তরাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ দিনভর ভোগান্তি নিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে দিয়ে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গে কর্মস্থলে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন।
সরেজমিনে শনিবার সন্ধ্যা ৭ টায় এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে শত শত মানুষকে গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। কেউ দুই ঘণ্টা, কেউ তিন ঘণ্টা যাবত গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষা করছে।
জুলেখা বেগম বলেন, ‘আড়াই ঘণ্টার অধিক সময় বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। উত্তরবঙ্গ থেকে শত শত বাস আসছে। তবে প্রতিটি বাসেই পা ফেলানোর মত জায়গা নাই। এছাড়াও গরমও সহ্য হচ্ছে না।’
ইকবাল আলী বলেন, ‘মহাসড়কে ভোগান্তি ছাড়া আর কিছুই দেখছি না। এছাড়াও বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।’
হারুন মিয়া নামের এক ট্রাক-চালক বলেন, ‘সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত আসতে ১০ ঘণ্টার অধিক সময় লেগেছে। স্বাভাবিক সময়ে যেখানে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা লাগে।’
এর আগে শুক্রবার দিবাগত মাঝরাত থেকে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, একাধিক সড়ক দুর্ঘটনা ও একাধিক যানবাহন বিকল হওয়ায় যমুনা সেতুর টোলপ্লাজা থেকে টাঙ্গাইলের রাবনা পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে তা কমে ১৪ কিলোমিটারে আসে।
এছাড়াও মহাসড়কে গণপরিবহনের সংকট থাকায় কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক ও পিকআপে গন্তব্যে যাচ্ছে মানুষ। সব মিলিয়ে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
শুক্রবার রাত ১২ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ হাজার ১৮২টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ১৩ হাজার ২০০ টাকা।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘মহাসড়কে যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করছে।’ দ্রুত সময়ের মধ্যে এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে তিনি জানান।