শেরপুর জেলা সদর থেকে গাজীরখামার হয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলায় যাতায়াতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক এখন মরণ ফাঁদ। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে দুই পৌরসভা ও ৫টি ইউনিয়নের হাজারো মানুষ জেলা সদর ও নালিতাবাড়ী যাতায়াত করেন।
২০১৬ সালে ১৭ কিলোমিটারের এই সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। এরপর ৪ বছর পর খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে সংস্কার শেষ হয় ২০২০ সালে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়ক প্রশস্ত ও সংস্কারে দায়সারাভাবে কাজ শেষ হলেও এক বছরও টেকেনি এই সড়কটির স্থায়িত্ব।
এদিকে, সড়কটির নালিতাবাড়ী অংশ কিছুটা চলাচলের উপযোগী হলেও শেরপুর সদরের অংশ বেহাল। খানাখন্দ, সড়কের মাঝখানে দেড় থেকে দুই ফুট গভীর গর্ত। এছাড়া, বৃষ্টিতে অনেক স্থানেই জলাবদ্ধতায় যান চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি ভাঙা রাস্তায় চলাচলের কারণে গাড়ি উল্টে ঘটছে দুর্ঘটনাও।
স্থানীয়রা জানান, রাস্তার এ অবস্থার জন্য সময়মত কোথাও পৌঁছাতে পারেননা তারা। রাস্তার খারাপ অবস্থার জন্য ৫ মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লাগে ২৫ মিনিট।
গাড়ী চালকরা বলেন, ‘আমাদের জন্য এবং যাত্রীদের জন্য সমান রিস্ক। একটা গাড়ি সাইড দিতে গেলে আরেকটা গাড়ি উল্টে যায়। এ রাস্তাটা অতি জরুরি ভিত্তিতে ঠিক করা দরকার।’
সড়কটি সংস্কারের জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলেই দ্রুত কাজ শুরু করা হবে বলে জানান এলজিইডির কর্মকর্তা।
শেরপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা একটি প্রকল্প দাখিল করেছি। এটি পাস হলে এ রাস্তা ব্যাপক যানবাহন চলাচলের উপযুক্ত হবে। আর বর্তমানে অতি বৃষ্টির কারণে গাজীরখামার চৈতনখোলা বটতলাতে যে সমস্যা হয়েছে তা আমরা ইমারজেন্সি মেইনন্টেন্সের মাধ্যমে এ অর্থ বছরেই ঠিক করে দেব।’
২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১৭ কিলোমিটারের এই সড়কটি প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কারের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি।