দুপুর পৌনে ৩টার দিকে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এনসিপির গাড়িবহর শহর ছাড়ার সময় তাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারগ্যাস, রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। শহরের পৌরপার্ক ও লঞ্চঘাট এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি গাড়ি, রাস্তায় আনা চেয়ার-মঞ্চে আগুন দেয়া হয়।
পুলিশ ও সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হলে আরও চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। এনসিপির নেতারা বর্তমানে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থান করছেন।
এর আগে দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে গোপালগঞ্জ পৌরপার্কে এনসিপির সমাবেশ চলাকালেও হামলার ঘটনা ঘটে। একাধিক এলাকায় গাছ ফেলে রাস্তা অবরোধ করা হয়, সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে পড়ে যান চলাচল।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালের সমর্থকেরা এই হামলার সঙ্গে জড়িত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সদস্য আহত হয়েছেন।
বর্তমানে গোপালগঞ্জজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।