নিহত কলেজ শিক্ষার্থী হৃদয় (২০) টাঙ্গাইলের গোপালপুরের আলমগর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। তিনি হেমনগর ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়তেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি কোনাবাড়ী এলাকায় অটোরিকশা চালাতেন।
গেলো বছর সরকার পতনের ‘এক দফা’ আন্দোলনের সময় গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানার পাশে গুলি করে ওই কলেজ ছাত্রকে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গাজীপুর শিল্প পুলিশে কর্মরত কনস্টেবল মো. আকরাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়াও তৎকালীন জিএমপির ডিবির পরিদর্শক শফিকুল ইসলামকে এ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের উপস্থিতিতে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার কার্যক্রমের প্রস্তুতি নেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে উদ্ধার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মাসুদ পারভেজ।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন বলেন, ‘ডুবুরি দল দুপুর ১২টা থেকে কড্ডার তুরাগ নদীতে নেমে উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন।’
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করলে হৃদয় বিজয় মিছিলে অংশ নেয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি দেখে হৃদয় রাস্তার পাশে অবস্থান নেন। সেখানে দায়িত্ব পালন করছিলেন শিল্প পুলিশের কিছু সদস্য। তারা হৃদয়কে রাস্তার পাশ থেকে ধরে নিয়ে চড় থাপ্পড় মারেন। এক পর্যায়ে পুলিশ গুলি করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান হৃদয়। এ ঘটনায় হৃদয়ের ফুফাতো ভাই মো. ইব্রাহীম বাদী হয়ে কোনোবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে হুকুমের আসামি এবং অজ্ঞাত ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।