সেফটি ট্যাংকে মানিব্যাগ তুলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু, আহত ১

মৌলভীবাজার
মৃত যুবকের মরদেহ
এখন জনপদে
0

পুরনো সেফটি ট্যাংকে পড়ে যাওয়া একটি মানিব্যাগ তুলতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন সোহেল মিয়া (২৮) নামের এক যুবক। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তার আপন ছোট ভাই ইমন আহমদ (২২)। ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলার গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের ডোমাবাড়ি গ্রামে।

গতকাল (বুধবার, ৩০ জুলাই) রাত ৯টায় ঘরের পাশের পুরনো সেফটি ট্যাংকে মানিব্যাগটি পড়ে গেলে সোহেল তা তুলতে ট্যাংকে নামেন। কিছুক্ষণ পরই তিনি গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। বিষয়টি দেখে ছোট ভাই ইমন তাকে উদ্ধারের জন্য ট্যাংকে নামলে সেও গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন।

স্থানীয়রা বহু চেষ্টা করেও তাদের উদ্ধার করতে ব্যর্থ হলে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। তারা এসে দীর্ঘসময় চেষ্টার পর এলাকাবাসীর সহযোগিতায় দুই ভাইকে ট্যাংক থেকে উদ্ধার করে রাত ১১টার দিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেলকে মৃত ঘোষণা করেন। ইমন বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫০ শয্যা মৌলভীবাজার জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে।

সোহেল ছিলেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন। ছোটবেলায় মায়ের মৃত্যু হলে সংসারের দায়িত্ব নেন তিনি। দুই ভাই গ্রামের মুজমিল আলীর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোহেল ট্যাংকে নামার পরই হঠাৎ নিস্তব্ধ হয়ে যান। তারপর ইমন নামলে সেও আর উপরে ওঠেনি। তারা বারবার চেষ্টা করেও কিছু করতে পারেনি।

ফায়ার সার্ভিসের জুড়ি ইউনিটের ইনচার্জ বলেন, ‘সেফটি ট্যাংকে বিষাক্ত গ্যাস জমে ছিল। উপযুক্ত যন্ত্রপাতি ছাড়া নামলে এমন দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। তারা প্রায় ৪০ মিনিট চেষ্টা করে দুই ভাইকে উদ্ধার করেন।’

জুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. অসিত দেবনাথ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘রাত ১১টার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও স্থানীয়রা দুইজনকে নিয়ে আসলে একজনকে মৃত পাই। অপরজন গুরুত্বর আহত হয়েছেন। তাকে মৌলভীবাজর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।’

সোহেলের মৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মতো একজন পরিশ্রমী ও দায়িত্ববান যুবকের এমন মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছেন না।

এসএস