এর আগে মঙ্গলবার রাতে শহরের ভিক্টোরিয়া রোডে অবস্থিত শতাব্দী একটি ক্লাবে জুয়া খেলার সময় গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ এক লাখ টাকা ৪৯ হাজার ৪১০ টাকা, জুয়া খেলার বিভিন্ন সরঞ্জাম ও দুইটি খালি মদের বোতল উদ্ধার করা হয়। বুধবার দুপুরে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, সাবেক জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক দেওয়ান শফিকুল ইসলাম, কালীবাড়ি এলাকার বিধুণ ভুষনের ছেলে রক্ষিত বিশ্বজিৎ, সবুর খান বীর বিক্রমের ছেলে মো. শাহ আলম খান মিঠু, দিঘুলিয়ার জসিম উদ্দিন, বাঘিলের গোলাম মাওলা, থানাপাড়ার শাহিন আহমেদ, আবু জাফর খান, বিশ্বাস বেতকার মো. আব্দুর রশিদ, আকুর টাকুর পাড়ার মঈন খান, করটিয়ার ইসমাইলের ছেলে মোস্তফা কামাল, সাবালিয়া এলাকার বিশ্বনাথ ঘোষ, একে এম মাসুদ, বেতকার শিপন, মহব্বত আলী, বিশ্বাস বেতকার আশিকুর রহমান, রফিক, আখতারুজ্জামান, বেপারী পাড়ার এস এম ফরিদ আমিন, কবির হোসেন, আদালত পাড়ার মোশারফ উদ্দিন, রফিকুল, বিশ্বজিৎ, হাসান আলী, ঘারিন্দা এলাকার হাবিল উদ্দিন, আকুর টাকুর পাড়ার জাহিদ, থানা পাড়ার প্রিন্স খান, সৈয়দ শামসুদ্দোহা, পাড় দিঘলিয়ার সাদেকুর, কাজিপুরের সেলিম, আদালত পাড়ার শাহ আলম, সিরাজুল, আদি টাঙ্গাইলের শফিক, আশেকপুর এলাকার আরমান ও ছয়আনি পুকুর পাড় এলাকার শামসুল হক।
গালা গ্রামের ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, এই জুয়া খেলে অনেক পরিবার নিঃস্ব হচ্ছে। তারপরও দেশ থেকে জুয়া বন্ধ হচ্ছে না। জুয়ার আইনটি আরও কঠোর করার দাবি করছি।
শহরের সন্তোষের আবু হানিফ বলেন, ‘এ জুয়া মামলায়ই মনে হয় আদালতে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আসামিরা জামিন পেয়ে যায়। অথচ এ জুয়ায় আসক্ত হয়ে অনেকে অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। অপরাধ কমাতে ও অনেক পরিবারকে রক্ষার স্বার্থে আইনের বিষয়ে সরকারের ভেবে দেখা উচিৎ।’
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানবীর আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাতে সেনাবাহিনী শতাব্দী ক্লাবে অভিযান চালিয়ে জুয়ার আসর থেকে বিএনপি নেতাসহ ৩৪ জনকে আটক পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। বুধবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
টাঙ্গাইল আদালত পরিদর্শক লুৎফর রহমান বলেন, ‘দুপুর পৌনে ১ টার দিকে আসামিদের আদালতে আনা হয়। বিকেল পৌনে ৪ টার দিকে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।